আন্তর্জাতিক
ডেস্কঃ ফিলিস্তিনকে বিলুপ্ত করে ইসরায়েল, জর্ডান ও মিসরের মধ্যে ভাগাভাগির ‘ডিল অব
দ্য সেঞ্চুরি’র
যে প্রস্তাব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছিলো, তা মেনে
নিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে সৌদি আরব ও জর্ডানসহ
কয়েকটি আরব দেশ। সংবাদসংস্থা কুদস নেট নিউজের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য পর্যবেক্ষণকারী
ব্রিটিশ সংস্থা মিডলইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।
‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’-তে প্রস্তাব
করা হয়েছে, অবরুদ্ধ
গাজা উপত্যকা, যা
হামাস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে,
সেটি চলে যাবে মিসরের অধীনে। আর দখলকৃত পশ্চিমতীরের একাংশে থাকবে
জর্ডানের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব। পশ্চিম তীরের অবশিষ্ট অংশ শাসন করবে ইসরায়েল। এখানে বসবাসরত
ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েল রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
২০০২
সালের আরব-ইসরায়েল শান্তি আলোচনার ভিত্তিতে ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন
পিএলও কর্মকর্তারা। সেসময় সৌদি আরবের প্রস্তাবিত ওই শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে বলা
হয়েছিল, সব
আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে। বিনিময়ে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর দখল করা সব ফিলিস্তিনি
এলাকা থেকে ইসরায়েল নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে।
এর আগে
২০১৭ সালের জুলাই মাসে ইসরায়েলের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এই চুক্তি ফাঁস করার
দাবি করে। পত্রিকাটি জানায়,
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর
মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ডিল
অব দ্য সেঞ্চুরি’ (শতাব্দীর
সেরা চুক্তি) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
একই সূত্র
কুদস নেট নিউজকে বলেছে,
আরব দেশগুলোর এমন অবস্থানে মাহমুদ আব্বাস ‘বিস্মিত’ হয়েছেন।
তিনি ইতোমধ্যে চুক্তির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে বর্জন করার দাবি করে আসছেন।
আরব দেশগুলোর এমন চাপ দেওয়াকে আব্বাস ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলেও
মনে করছেন।
কয়েক
দশকের মার্কিন রীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী
স্বীকৃতির ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এ স্বীকৃতির প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ
হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির পর এই স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করে একটি প্রস্তাব
পাস হয়। পিএলও’র
পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় ইসরায়েলের সঙ্গে আর কোনও শান্তি আলোচনায় মার্কিন মধ্যস্ততা
মানবে তারা।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিন
0 facebook: