স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ এমপিওভুক্তির দাবিতে অনশনের ১১তম দিনে এসে দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তারা চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার এসব কথা জানান নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার।
তিনি বলেন, অসুস্থ শিক্ষকরা হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইছেন না। তারা স্যালাইন ও চিকিৎসা নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। একটি বেসরকারি মেডিকেল টিম চিকিৎসা দিতে এসেছিল কিন্তু শিক্ষকরা তাদের ফিরিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি তা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেন, তবে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে তারা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। এমপিওভুক্তির বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, গত ১২ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(স্কুল-কলেজ) এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই নীতিমালা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান অনুমতি ও স্বীকৃতির সময় আরোপিত শর্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। চলতি ২০১৮-১৯ বাজেটে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দের কোনও সুস্পষ্ট ঘোষণা নেই। তাই নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীর অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ১০ জুন থেকে প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান করে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় ২৫ জুন থেকে তারা আমরণ অনশন করছেন।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
0 facebook: