11 August 2018

ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৩৩ বছর পর মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে ১৯৮৫ সালে ঘটে ঘটনাটিসাত বছরের এক শিশু কন্যার দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলেন বিলি আইরিক নামক এই ব্যক্তিকিন্তু সেই নাবালিকাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করেছিলেন এই ব্যক্তিসেই অপরাধে প্রায় দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অবশেষে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে টেনেসি আদালতযা এখন রীতিমত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে

আদালত সূত্রে খবর, গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টা ৪৮ মিনিট নাগাদ প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনের সাহায্যে তাকে এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছেদীর্ঘদিন আইনি জটিলতার কারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া স্থগিত ছিল টেনেসিতেপ্রায় এক দশক বাদে টেনেসিতে আবার কোনও অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলমৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেও অপরাধীর শাস্তি মওকুফের আবেদন খারিজ করে দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট

আসামী পক্ষের আইনজীবি দাবি করেছিলেন, আইরিক মানসিকভাবে সুস্থ ননপ্রায় ৩০ বছর ধরেই তিনি মানসিক রোগে ভুগছেনকিন্তু এই আবেদনে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালতবিচারপতি জানিয়ে দেন, আইরিক জেনে বুঝেই এই অপরাধ করেছিলেনসুতরাং তার কোনও ক্ষমা নেইঅবশেষে প্রায় ৩৩ বছর আগের অপরাধের সাজা বিষাক্ত ইঞ্জেকশনেই পেলেন আইরিক

জানা গেছে, ২০০৯ সালে এই মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছিল টেনেসি আদালততারপর চলে বিস্তর নাটককিন্তু অবশেষে সেই মৃত্যুদণ্ড দিতে সফল হল আদালত৫৯ বছরের আইরিককে যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে সেটা আসলে প্যারালিটিক ড্রাগযার নাম ভেকুরোনিয়াম ব্রোমাইড

এই ইঞ্জেকশন দিলে প্রথমে প্রচণ্ড যন্ত্রণা অনুভব করে সেই ব্যক্তিতারপর আস্তে আস্তে প্যারালাইসিস হয়ে যায় সারা শরীর এবং শ্বাসকষ্ট হতে হতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ব্যক্তিটিযা শাস্তি হিসাবে দেওয়া হল আইরিককে। ‌‌


শেয়ার করুন

0 facebook: