26 August 2018

‘অবৈধ সন্তান রয়েছে ট্রাম্পের’


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তার একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কম চর্চা নেই। কখনও উঠে এসেছে মার্কিন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের নাম। কখনও প্লেবয় মডেল ক্যারেন ম্যাকডুগাল দাবি করেছেন, তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

এ বার ‘ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ার’-এর প্রাক্তন দ্বাররক্ষী দাবি করলেন, এক সময়ে ওই ভবনেরই এক পরিচারিকার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তাদের একটি অবৈধ সন্তানও রয়েছে।

ডিনো সাজুডিন নামে ওই রক্ষী জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে ভোটের আগে তার কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছিল ‘আমেরিকান মিডিয়া’ নামে

একটি মার্কিন প্রকাশনা সংস্থার ট্যাবলয়েড ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’। পরিবর্তে তাকে বড় অঙ্কের অর্থ দেয়া হয়। সই করিয়ে নেয়া হয় চুক্তিপত্রেও। চুক্তিতে লেখা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময়ের আগে ট্রাম্প ও ওই পরিচারিকার সম্পর্ক এবং তাদের প্রেমজ সন্তান নিয়ে বাইরে মুখ খুললে ডিনোকে ১০ লাখ ডলার শাস্তিস্বরূপ ওই সংস্থাকে দিতে হবে। ডিনো জানান, এই কারণেই এত দিন তিনি চুপ ছিলেন।

‘ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ার’-এর ওই পরিচারিকা অবশ্য ডিনোর দাবি মানতে নারাজ।

তিনি বলেছেন, ‘আগাগোড়া ভুয়া খবর।’ স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের সংস্থাও জানিয়েছে, ডিনোর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

কিন্তু একটি মার্কিন সংবাদ সংস্থা শনিবার দাবি করেছে, ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে তারা অন্তর্তদন্ত চালিয়েছিল। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, সত্যিই ডিনো সাজুডিনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ‘আমেরিকান মিডিয়া’-র। এবং অর্থও দেয়া হয়েছিল তাকে।

একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিককে ডিনো জানিয়েছেন, ‘আমেরিকান মিডিয়া’-র প্রধান ডেভিড পেকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনেক দিনের বন্ধু। বরাবরই তারা ট্রাম্পকে রক্ষা করে এসেছেন। পরে তিনি বুঝেছিলেন, খবর করতে নয়, তার মুখ বন্ধ করতেই ওই কাজ করেছিল ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’।

ট্যাবলয়েডটির মুখ্য সম্পাদক ও ‘আমেরিকান মিডিয়া’র অন্যতম কর্তা ডিলান হাওয়ার্ড জানিয়েছেন, সুজাডিনকে সত্যিই অর্থ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবে’ খবরটি আর ছাপা হয়নি। ডিলান আরও বলেন, ‘ডিনো গভীর জলের মাছ।’

একটি মার্কিন সংবাদ সংস্থা ডিনোর কাছ থেকে গোটা বিষয়টা বিশদে জানতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অর্থ দেয়া না হলে তিনি কিছু জানাবেন না।

তিনি বলেন, ‘ডলারের গল্প না থাকলে, তিনি এর মধ্যে আর নিজেকে জড়াবেন না।’

তবে ডলারে মুখ বন্ধ করার অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট মেনে নিয়েছিলেন, তার আইনজীবী মাইকেল কোহেন ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন চুপ থাকার জন্য। উদ্দেশ্য ছিল একই। মার্কিন জনসাধারণের কাছে নিজের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে স্টর্মিকে বলা হয়েছিল, তার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক যেন প্রকাশ্যে না আসে। ডিনোর ঘটনার ঠিক আট মাস পরেই, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে প্লেবয় মডেল  ক্যারেন ম্যাকডুগালকে ‘আমেরিকান মিডিয়া’ দেড় লাখ ডলার দিয়েছিল বলে শোনা যায়।

নতুন কেলেঙ্কারি নিয়ে এখনও পর্যন্ত নীরবই রয়েছেন ট্রাম্প।

সূত্রঃ আনন্দবাজার


শেয়ার করুন

0 facebook: