প্রতিকি ছবি |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ চলতি মৌসুমে পবিত্র ওমরাহ হজ পালন করতে গেলেও এখনও অন্তত ৯৪ জন হাজি দেশে ফেরেননি। এজন্য ওমরাহ এজেন্সিকে দূষছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওমরাহ এজেন্সির এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং ওমরাহ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম দারুনভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ শাখায় কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ৬৩ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোকে আগামী সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি-১৪৩৯ হিজরি/২০১৮ খ্রি. এর অনুচ্ছেদ নং- ২১.২.৩ ও ২১.২.৪ এর নির্দেশনা উপেক্ষা করে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ওমরাহের নির্ধারিত কোটা ৫০০ এর অধিক যাত্রী পাঠানো এবং কোনও কোনও প্রতিষ্ঠানের এক থেকে ৪৮ জন পর্যন্ত ওমরাহ হাজি বাংলাদেশে ফেরত না আসার অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাজি ফেরেননি বলাকা ট্যাভেলসে অ্যান্ড ট্যুরের। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ৪৬৭ জন হাজি ওমরাহ করতে সৌদি আরব গেলেও ফেরেননি ৪৮ জন। এছাড়া অন্য ৬২ এজেন্সির অধীনে এক থেকে ৭ জন পর্যন্ত আর দেশে ফেরেননি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বলাকা ট্র্যাভেলসের ব্যবস্থাপনা পার্টনার আশরাফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমাদের কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে কোনও নোটিশ পাঠানো হয়নি। আমাদের এ ব্যাপারে জানা নেই। আমাদের এজেন্সির মাধ্যমে যারা ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন, তারা সবাই দেশে ফিরেছেন।
তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নোটিশ যাবার বিষয়টি স্বীকার করেন আল ইমাম হজ কাফেলা ট্র্যাভেলস এজেন্সির প্রোপারাইটার মুহম্মদ মনির উদ্দিন। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত নোটিশ আমরা পেয়েছি। নোটিশে জবাব দিতেও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের এজেন্সি থেকে যারা ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৩ জন ছাড়া সবাই দেশে ফিরেছেন।
কিন্তু কেন ৩ জন এখনও দেশে ফেরেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ওমরাহ যাত্রী সৌদিতেই মারা গেছেন, তাকে সেখানে দাফন করা হয়েছে। যার তথ্য আমাদের কাছে আছে। আর বাকি ২ জন হাজি সেখানকার কারাগারে বন্দি আছে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও মক্তবের নামে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে তাদের আটক করে সৌদি পুলিশ।
খবর বিভাগঃ
জাতীয়
ধর্ম ও জীবন
0 facebook: