![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গত ২ অক্টোবর তিনি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে ঢুকে নিখোঁজ হন বিখ্যাত সৌদি সাংবাদিক ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচক জামাল খাসোগি।
কয়েকদিন অস্বীকার করার পর শনিবার সৌদি আরব খাসোগিকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলে যে, দূতাবাসের ভেতর একটি ঝগড়ার সময় তিনি মারা যান।
খাসোগির নিখোঁজ হওয়ার দিন দু’টি পৃথক বিমানে করে সৌদি কর্মকর্তাসহ ১৫ ব্যক্তি ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে আসেন বলে জানিয়েছে তুরস্কের পুলিশ সূত্র। তারা পরে তুরস্ক ত্যাগ করে।
তুরস্ক ও সৌদি আরবের যৌথ তদন্ত দল ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতের বাসভবনসহ দূতাবাসে তদন্ত পরিচালনা সম্পন্ন করেছে বৃহস্পতিবার।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান রোববার বলেছেন যে, তিনি খাসোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মঙ্গলবার সংসদে তার দলের গ্রুপ মিটিংয়ে বক্তব্য রাখবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন এবং এ হত্যার দায়ে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকিও দেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিবিএস ‘৬০ মিনিট’কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগি সৌদি আরব হত্যা করেছে বলে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশটিকে মারাত্মক শাস্তি পেতে হবে। খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট থাকলে তা আমাকে খুব হতাশ ও ক্ষুব্ধ করবে। আমরা এটির গভীরে যাব এবং কঠোর শাস্তি দেবো।’
এ ঘটনার প্রতিবাদ এসেছে বিভিন্ন দেশ থেকেও। সর্বশেষ ইউরোপের দেশ জার্মানি রোববার ঘোষণা করেছে যে, তারা সৌদি আরবের কাছে আর অস্ত্র বিক্রি করবে না। জামাল খাগোসি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে রিয়াদের ব্যাখ্যায় তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে প্রকাশ, ওই দিন বার্লিনে ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জরুরিভিত্তিতে এ হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত প্রকাশ করার আহ্বান জানান।
‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্ত্র রফতানিতে আমরা উদ্বিগ্ন’, বলেন মার্কেল।
তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে বার্লিন তার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথেও আলোচনা করবে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: