ফাইল ছবি |
একই
সঙ্গে ১ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
নেতাদের মধ্যকার অনুষ্ঠিত সংলাপের বিষয়বস্তুও বৈঠকে অন্যান্য নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
২ নভেম্বর, শুক্রবার রাতে গুলশানে দলটির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
স্থায়ী
কমিটির একাধিক নেতা প্রিয়.কমকে জানান, বৈঠকের শুরুতে গণভবনে
অনুষ্ঠিত সংলাপে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে আলোচিত বিষয়বস্তু
স্থায়ী কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে। এ সময় গণভবনে অংশ নেওয়া নেতারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সভা-সমাবেশ অনুমতির বিষয়টি
ছাড়া জাতীয় এক্যফ্রন্টের পেশ করা সাত দফা দাবি সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া
পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। আবার নির্বাচনেরও বেশি
দেরি নেই। এই বিষয়গুলোতে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই নিয়ে কারাবন্দী
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে
আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। তাদের মতামতই চূড়ান্ত হবে।
বিএনপি
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. মঈন খান।
সংশ্লিষ্ট
সূত্রের ভাষ্য, বৈঠকে কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
বিএনপি মহাসচিবসহ দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা।
এ বিষয়ে
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার বলেন, ‘গত ৮ অক্টোবর দলের মহাসচিবসহ ৯ জন নেতার সাক্ষাত চেয়ে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।’ এ ছাড়া
আগামী ৬ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার জন্য ইতিমধ্যে অনুমতি চেয়েছে জাতীয়
ঐক্যফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই জনসভাকে সামনে রেখে ৩ নভেম্বর, শনিবার বেলা ১১টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ
সভা হবে বলে জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তিনি
বলেন, ‘ইতিমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি, পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছি।’
0 facebook: