![]() |
ইরাকের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে নিনেভেহ, কিরকুক, সালাহ আল-দীন, এবং আনবার প্রদেশগুলোয় এসব গণকবর পাওয়া গেছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর। এতে বলা হয়, এসব গণকবরে ১২ হাজার পর্যন্ত মৃতদেহ থাকতে পারে।
খাফসা শহরে একটি বিরাট একটা খাদে পাওয়া গেছে শত শত মানুষের দেহাবশেষ। অনেক মৃতদেহই শনাক্ত করা যায়নি। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে ইরাকের সামরিক এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও আছে বলে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের এর আগের একটি হিসাব অনুযায়ী বলা হয়েছিল ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে তিন বছর ধরে এই গোষ্ঠীটি সিরিয়া এবং ইরাকের যে বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করেছিল, সেখানে তারা বহু মানুষকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। এর মধ্যে তাদের মতাদর্শের বিরোধী লোক থেকে শুরু করে, সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত লোকজন, ইয়াজিদি ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ, সবাইকে টার্গেট করা হয়েছিল।
শত শত ইরাকি পরিবার এখনো তাদের নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, এসব গণকবর আসলে বড় ধরনের অপরাধের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। জাতিসংঘ গণকবর থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার ও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য আরও তহবিল বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছে।
একই সঙ্গে যেসব পরিবার তাদের স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে তাদেরকেও সহায়তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: