গবেষকরা একে ব্যাপক আকস্মিক একটি ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, অনেক সমাজ রয়েছে যেখানে নাতি-নাতনির চেয়ে দাদা-দাদি ও নানা-নানির সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং এতে অদ্ভূত রকমের সমস্যায় পড়তে হবে।
১৯৫০ সালে গড়ে একজন নারী ৪.৭টি শিশুর জন্ম দিতেন আর গত বছরের হিসেবে দেখা গেছে তা প্রায় অর্ধেক কমে ২.৪টি শিশুতে নেমে গেছে। তবে দেশভেদে আসলে ব্যবধানটা অনেক বেশি। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে বর্তমান জন্মহার ৭.১ শতাংশ। অন্যদিকে সাইপ্রাসে গড়ে একজন নারী সারা জীবনে একটির বেশি সন্তান নেন না।
এই পরিস্থিতিতে যদি বিশ্বের জন্মহার ২.১ শতাংশ থেকে কমে যায়, তাহলে মোট জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে হলে অন্তত ২.১ শতাংশ জন্মহার থাকা দরকার।
শিশুমৃত্যুর হার কমে যাওয়ায় নারীদের কম সন্তান নেওয়া, জন্মনিরোধক প্রক্রিয়ার সহজলভ্যতা এবং শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়াকে সন্তান জন্মদানের হার কমার কারণ হিসেবে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে।
১৯৫০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়কাল নিয়ে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রায় ২০০ বছর বয়সী ‘দ্য ল্যানসেট’ চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: