পার্কটির প্রধান হেরি স্যানটোসো বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ গ্রুপ ডব্লিউডব্লিউএফ এবং পার্কের সংরক্ষণ অ্যাকাডেমি তিমিটির পেট থেকে পাঁচ দশমিক নয় কেজি প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস বের করে। এর মধ্যে ছিল ১১৫টি প্লাস্টিকের কাপ, চারটি প্লাস্টিকের বোতল, ২৫টি প্লাস্টিকের ব্যাগ, দুটি স্যান্ডেল, একটি নাইলনের ব্যাগ। এছাড়া হরেক রকম সহস্রাধিক প্লাস্টিকের টুকরাও সেখানে পাওয়া যায়।
ডব্লিউডব্লিউএফ-ইন্দোনেশিয়ার সমন্বয়ক দাউই সুপ্রাপ্তি বলেন, যদিও আমরা তিমিটির মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করতে পারছি না, কিন্তু তারপরও যে বিষয়টি দেখা গেছে, তা সত্যই খুব ভয়াবহ। যদি এর মৃত্যুর কারণ এই প্লাস্টিকই হয়, তাহলে কোনোভাবেই এটি উপেক্ষা করা যাবে না।
এ বছরের জানুয়ারিতে সায়েন্স নামক এক জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৬ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া চীনের পর বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ প্লাস্টিক দূষণকারী দেশ। ওই রিপোর্টে বলা হয়, অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতি বছর দেশটিতে ৩২ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমা হয়, যার প্রায় ১৩ লাখ টনের শেষ জায়গা হয় সাগর।
ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রবিষয়ক সমন্বয়কারী মন্ত্রী লুহুত বিনসার পান্ডজাইতান বলেন, তিমির ভেতরে এত পরিমাণ প্লাস্টিক পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি প্লাস্টিকের ব্যবহার হ্রাসে মানুষকে সচেতন করে তুলবে। একই সাথে সরকারকেও সমুদ্র রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করবে।
তিনি আরো বলেন, অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীগুলোও প্লাস্টিক দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা আমাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: