জাতিসংঘের সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, তাদের হিসাবে এপ্রিল ২০১৫ থেকে অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৮৪ হাজার ৭০০ শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
চলমান গৃহযুদ্ধকে কেন্দ্র করে খাবারের দাম বৃদ্ধি ও দেশের মুদ্রার মূল্যমানের পতন হওয়ায় আরও অনেক পরিবার খাদ্যের অনিশ্চয়তায় রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে সংগঠনটি। এর আগে গত মাসে এক কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ইয়েমেনি দুর্ভিক্ষের মুখে আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, এ যুদ্ধে অন্তত ছয় হাজার ৮০০ বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে কাজ করা ত্রাণ কর্মীরা জানিয়েছেন, দেশটির হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর মধ্যে মাত্র অর্ধেকের মতো এখনও সচল আছে। আর অনেক লোকই এত গরিব যে যেগুলো খোলা আছে সেগুলোতে চিকিৎসা নেওয়ার মতোও সঙ্গতি নেই তাদের।
২০১৫ সালে দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদিকে বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার পর দেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী, এতে লড়াই আরও সহিংস হয়ে পড়ে।
দুর্যোগময় এসব পরিস্থিতিতে প্রকৃতপক্ষে কতজনের মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যা নির্ধারণ করার অত্যন্ত কঠিন। এ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির দুই কোটি ২০ লাখ লোক এখন মানবিক ত্রাণ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জরুরি খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে এবং কলেরার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে এক কোটি ২০ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: