তবে ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরনের নিলাম নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও বিষয়টি নজরে আসার পর এই ধরনের পোস্ট ফেসবুক মুছে ফেলেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু ওই কিশোরীর বিয়ে অবশ্য ঠেকানো যায়নি। ফেসবুক ওই পোস্টটি ডিলিট করে দেয়ার আগেই কিশোরীটির বিয়ে হয়ে যায়।
খবরে বলা হয়েছে, ওই কিশোরীকে বিয়ে দেয়া হবে বলে গত ২৫ অক্টোবর তাকে নিলামে তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেয় এক ব্যক্তি। এরপর নিলামে অংশ নেয় অন্তত পাঁচজন পুরুষ। তাদের মধ্যে সরকারের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তারাও ছিলেন।
তবে নিলামের বিষয়টি ফেসবুকের নজরে আসে ৯ নভেম্বর। তারা পোস্টটি মুছে ফেলে এবং পোস্টদাতার আইডি ডিলিট করে দেয়। কিন্তু ৩ নভেম্বরই ওই কিশোরীটির বিয়ে হয়ে যায়। আর নিলামে ওই শিশুকে ‘জিতে’ নেয়া ব্যক্তির আরও আটজন স্ত্রী রয়েছে।
দক্ষিণ সুদানে পণ প্রথা সম্প্রতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিয়ের জন্য মেয়ে বিক্রির প্রবণতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই টাকা ও গবাদি পশুর বিনিময়ে তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ সুদানে ৫২ শতাংশ মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। আর ১৫ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয় ৯ শতাংশ মেয়ের।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: