13 January 2019

হৃদস্পন্দন খুঁজে পাননি ডাক্তাররা, ৭২ ঘণ্টা পর জেগে উঠলেন তরুণী


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হৃদস্পন্দননিথর দেহ পড়েছিল হাসপাতালে, প্রায় তিনদিনতার পর আচমকাই জেগে উঠলেন তরুণীচিনের পূর্ব ফুজিয়ান প্রদেশে সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে। সূত্রঃ আনন্দবাজার

২৬ বছরের ওই তরুণী এক সন্তানের মাতবে তাঁর নাম-পরিচয় সামনে আনা হয়নিচিনা সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের প্রথম দিন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনিরাত ৮টা নাগাদ স্ত্রীকে পিঠে বয়ে জিয়ামেন ইউনিভার্সিটি অনুমোদিত একটি হাসপাতালে হাসপাতালে হাজির হন তাঁর স্বামী

তড়িঘড়ি শুরু হয় চিকিত্সাকিন্তু শত চেষ্টার পরও ওই মহিলার হৃদস্পন্দন খুঁজে পাননি তাঁরাতড়িঘড়ি আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকেসেখানে ২০ মিনিট ধরে সিপিআর দেওয়া হয়তাতেও লাভ হয়নিযার পর এক্সট্রা কর্পোরিয়েল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন (ইসিএমও) প্রযুক্তিতের সাপোর্ট দেওয়া হয়এ ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্র কাজ না করলেও যন্ত্রের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা যায় সেই অবস্থায় তিনদিন থাকলেও, পরিস্থিতির উন্নতি হয়নিকোনও ভাবেই সাড়া দেননি ওই তরুণীচিকিত্সকরা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, মারা গিয়েছেন ওই তরুণীহাসপাতালে পড়ে ছিল তাঁর নিথর দেহকিন্তু অল্পবয়সে একজন এ ভাবে চলে যাবে, তা মেনে নিতে পারেননি হাসপাতালেরই কয়েক জন চিকিত্সকতাই চেষ্টা ছাড়েননি তাঁরাঅবশেষে তাতেই কাজ দেয়

৭২ ঘণ্টা পর হঠাত্ ওই তরুণীর হৃদযন্ত্র আংশিকভাবে কাজ করতে শুরু করেতার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়কথা বলতে না পারলেও, চোখ খোলেন তিনিচিকিত্সায় সাড়া দেনকোনওরকম কৃত্রিম সাহায্য ছাড়াই ৭ জানুয়ারি থেকে হৃদস্পন্দন জারি রয়েছে তাঁরচিকিত্সকরা জানিয়েছেন, এখন আর খাইয়ে দিতে হচ্ছে না তাঁকেতবে শারীরিকভাবে এখনও দুর্বল ওই তরুণীনিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন নাহাসপাতালে চিকিত্সকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি কিন্তু হঠাত্ কী এমন হয়েছিল, যে মাত্র ২৬ বছর বয়সে এমন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী? হাসপাতালের চিকিত্সক জ্যাং মিনউই জানিয়েছেন, ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলিয়েশনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই তরুণীএই রোগেসারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে কাঁপতে শুরু করেছিল হৃদপিণ্ডডাক্তারি পরীক্ষায় মাইয়োকারডিটিসও ধরা পড়েছে ওই তরুণীরএর ফলে সংক্রমণের জেরে হৃদপিণ্ডের পেশিতে জ্বালা ধরেতা থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে


শেয়ার করুন

0 facebook: