আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানই (এমবিএস) যে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে জাতিসংঘের তদন্ত দল তা উপলদ্ধি করতে পেরেছেন বলে উল্লেখ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ একজন সহযোগী।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টা ইয়াসিন আকতে শুক্রবার জানান, সৌদি যুবরাজ যে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের প্রধান দায়ী ব্যক্তি জাতিসংঘ কমিশনের সদস্যরা তা বুঝতে পেরেছেন। শিগগিরই তারা হত্যাকাণ্ডের অডিও রেকর্ডিং শুনবেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ড খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার আকতের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন। জাতিসংঘের তদন্ত দল ৩১ জানুয়ারি ইস্তাম্বুলে তাদের বৈঠক শেষ করে তুরস্কের রাজধানী আংকারায় যান। সেখানে সরকারী কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা সাক্ষাত করেন। এছাড়া ৩০ জানুয়ারি তারা ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট জেনারেলের আশেপাশের পরিবেশ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন।
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা দেশটিতে থাকবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাই কমিশনার জানিয়েছিলেন, খাশোগির হত্যার ঘটনা তদন্ত করার জন্য অ্যাগনেস ক্যালামার্ডের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। এটি মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে খাশোগি হত্যার পারিপার্শ্বিকতা পর্যালোচনা এবং মূল্যায়ন করে দেখবে।
জাতিসংঘের তদন্ত কমিটিতে ক্যালামার্ড ছাড়াও আছেন ব্যারোনেস হেলেনা কেনেডি এবং পর্তুগালের কোইমব্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দুয়ার্তে নুনো ভিয়িরা। জুনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে খাশোগি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক খাশোগি গত বছরের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর নিহত হন। তার এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অনেকেই সৌদি যুবরাজকে দায়ী করেন। কেন না তিনি প্রায়ই যুবরাজের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করতেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: