আফগান সঙ্কট সমাধানে বুধবার মস্কোয় দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে অংশ নেন তালেবানের শীর্ষ নেতা, সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ বিরোধীদলীয় নেতারা। বৈঠকের পর তালেবান নেতা আব্দুল সালাম হানেফি জানান, চলতি মাসেই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তালেবানের শীর্ষ নেতা আব্দুল সালাম হানেফি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জানিয়েছে, চলতি মাস থেকেই আফগানিস্তানে অবস্থানরত তাদের ৫০ শতাংশ সেনা তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে। যা আগামী এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ থেকে দুটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সেনা প্রত্যাহার এবং সময়সীমা নিয়ে কাজ করবে।'
মস্কোতে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতির দাবি করেন সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই।
সাবেক আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই বলেন, 'আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারসহ সব ধরনের আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। কারণ, দেশটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া, নারী পুরুষের অধিকার বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।'
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্বীকার কোরে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলছেন, তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
পেন্টাগন মুখপাত্র কর্ণেল রব মানিং বলেন, 'আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা ঠেকাতে সব পক্ষ যদি যথাযথ পদক্ষেপ নেয় তাহলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ভেবে দেখবে ওয়াশিংটন।'
এমন অবস্থায় দেশটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চলা সংঘাত নিরসনের এখনই মোক্ষম সময় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: