আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতীয় বিমান হামলায় পাহাড়ি বনের গাছের ক্ষতি হওয়ায় জাতিসংঘে নালিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির সরকারের একজন মন্ত্রীর বরাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভারতের ওই হামলাকে ‘ইকো টেরোরিজম’ হিসেবে অভিহিত করেছে দেশটি।
গত মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় বিমান বাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের হামলা চালায়। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হামলায় বালাকোটে অবস্থিত জইশ-ই মুহাম্মদের একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় অন্তত ৩০০ স্বাধীনতাকামি নিহত হয়েছে বলেও দাবি করে দেশটি। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় ভারত।
তবে পাকিস্তানের দাবি, ওই হামলায় কেউ নিহত হয়নি। এছাড়া স্বাধীনতাকামি আস্তানার খবরও উড়িয়ে দেয় দেশটি।
পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মালিক আমিন আসলাম জানান, ভারত সংরক্ষিত একটি বনাঞ্চলে বোমা ফেলেছে। পাকিস্তান সরকার এটিকে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে নিচ্ছে এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ফোরামে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে।
‘সেখানে যা হয়েছে সেটা এনভায়রনমেন্টাল টেরোরিজম।’ রয়টার্সকে বলছিলেন আসলাম। ‘সেখানে অনেক পাইন গাছ মারা পড়েছে। এটা পরিবেশের জন্য বড় ক্ষতি।’
রয়টার্স জানায়, তাদের দুই প্রতিনিধি হামলাস্থলে গিয়েছিলেন। তারা সেখানে চারটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের চিহ্ন দেখেছেন। এতে ১৫টি পাইন গাছ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া গ্রামবাসী কেউ নিহত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রয়টার্সের প্রতিনিধিদের কাছে।
এর আগে পাকিস্তানের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল জিও টিভির সাংবাদিক হামিদ মীর হামলাস্থলে গিয়ে টেলিভিশন লাইভে জানান, ভারতের হামলার জায়গাটি আসলে বালাকোটে নয়, জাব্বায়। সেখানে কেউ নিহত হননি বলে জানান তিনি। তবে ওই ঘটনায় আহত একজনকে টিভি লাইভে হাজির করেন তিনি। আহত ওই ব্যক্তি জানান, ভারতীয় হামলায় কেউ নিহত হয়নি। এসময় হামিদ মীর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কিছু কটাক্ষ করে বলেন, আপনারা ৩০০/৩৫০ লোককে হত্যার দাবি করেছেন। কিন্তু আমি এখানে এসে দেখলাম কিছু গাছ মারা গেছে।’
এসময় একটি মৃত কাক দেখিয়ে তিনি বলেন, তবে ওই হামলায় পাকিস্তানি এই কাকটি মারা গেছে। তার রং কালো হলেও তাকে কোনোভাবেই আমার কাছে স্বাধীনতাকামি মনে হচ্ছে না।’
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: