14 March 2019

১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল

ফাইল ছবি
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াএকই সঙ্গে আপিলে তার জামিন প্রার্থনাও করা হয়েছে

বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার পক্ষে এ আপিল করেন

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার এ আপিল দায়েরের কথা নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

তিনি বলেন, ‘আপিলে বলা হয়েছে- জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের শুনানির সুযোগ না দিয়ে হাইকোর্ট একতরফাভাবে রায় দিয়েছেন, যা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্যবিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল আরও বলেন, ন্যায়বিচার হলে তিনি এ মামলা থেকে খালাস পেতেনএ জন্য তিনি আপিল দায়ের করেছেনআশা করছি- আপিল বিভাগে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন

গত বছরের ৩০ অক্টোবর এ মামলায় খালেদার সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেনএকই সঙ্গে পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে দেনরায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না

প্রসঙ্গত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতরায় ঘোষণার পর ওই দিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়নেয়া হয় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারেসেখানেই এক বছরের বেশি সময় ধরে আছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীপরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আরও ৭ বছর সাজা হয়

এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দিবাকি তিন আসামি পলাতকখালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুজন হলেনমাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদপলাতকরা হলেনবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্যসচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান

মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯১-৯৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন রমনা শাখার সোনালী ব্যাংকে প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন, যার নম্বর ৫৪১৬ওই হিসাবে ইউনাইটেড সৌদি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ডি ডি নম্বর ১৫৩৩৬৭৯৭০-তে ১৯৯১ সালের ৯ জুন ১২ লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার, যা তৎকালীন বাংলাদেশি মুদ্রায় চার কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা জমা হয়পরে খালেদা জিয়া বিভিন্ন সময়ে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন আসামির নামে এফডিআরকরে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে উত্তোলন করেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারা ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ ২ নম্বর আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন। 

এজাহারে ঘটনার সময়কাল হিসেবে ১৩ নভেম্বর ১৯৯৩ থেকে ২৮ মার্চ ২০০৭ সালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে


শেয়ার করুন

0 facebook: