স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বিশ্বের
১৫টা দেশের সার্ভার টার্গেট করে পাঁচ শতাধিক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট
হ্যাকার্স। ভবিষ্যতে যেকোনো দেশের সঙ্গে সাইবার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতেই মঙ্গলবার
মহড়া এ হামলায় অংশ নেন শাহজাহান সেলিম (এস জে রুট), ফারহান আহমেদ (ডেড হেক্সর), ইহান
মুক্তাদির (হাল্ক বাবা), আহনাফ শাকিল (আজব একখান পোলা), আদনান ওমর (ডেভিল), কামরুল
হাসান (ফাইটার কামরুল) ও রাকিব (নাল কোডার)।
হামলার
আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে সংগঠনটি লিখেছিল, বিডি গ্রে হ্যাট হ্যাকার্স আবার ইতিহাস সৃষ্টি
করতে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে যেকোনো দেশের সঙ্গে সাইবার যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে মহড়া শুরু
হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে সবগুলো দেশের সাইবার স্পেসে হামলা চালিয়ে আমরা আমাদের সক্ষমতা
যাচাই করে নিচ্ছি এবং সাইবার যুদ্ধ লাগলে কত দ্রুত আমরা একটি দেশের সাইবার স্পেসকে
ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারবো তার পরীক্ষা চলছে।
সাইবার
হামলা সম্পর্কে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকার্সের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন কাজী মিনহার মহসিন
উদ্দিন বলেন, পৃথিবী অনেক গতিশীল হয়েছে, সময়ের সঙ্গে গতিশীল হয়েছে মানুষের চিন্তা আর
চেতনার প্রতিফলন। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও নিজেদের দেশের সাইবার
স্পেস সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এই
হামলার দায়িত্বে ছিলেন ইহান মুক্তাদির ওরফে হাল্ক বাবা (সাইবার জগতে নাম) ও তার সহযোগীরা।
ইহান মুক্তাদির জানান, বাংলাদেশ গ্রে হ্যাটের সক্ষমতা যাচাই এর জন্যই এই উদ্যোগ নেয়া
হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান
এই সময়ে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনে অস্ত্রের মহড়ার সঙ্গে সাইবার ওয়ার্ল্ডের অধিকরণের
ক্ষমতা থাকা জরুরি। ভবিষ্যতে যেকোনো দেশের সঙ্গে সাইবার যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে সাইবার
অ্যাটাকের মহড়া শুরু হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বেশ অনেকগুলো দেশের সাইবার স্পেসে হামলা
চালিয়ে আমরা আমাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছি।
গ্রুপের
ক্রু ফারহান আহমেদ জানান, সাইবার যুদ্ধ লাগলে কত দ্রুত আমরা একটি দেশের সাইবার স্পেসকে
ধ্বংস করে দেয়ার ক্ষমতা রাখি সে ব্যাপারে নিজদের সক্ষমতা যাচাই করাই ছিল এই অ্যাটাকের
প্রধান উদ্দেশ্য। এই হামলার মাধ্যমে আমরা জানাতে চাই কোনো দেশের সাইবার স্পেসই তেমন
সুরক্ষিত না।
তবে
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকার্স বহির্বিশ্ব থেকে আগত
সাইবার অ্যাটাক মোকাবেলা করায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ
গ্রে হ্যাট হ্যাকার্সের ডিফেসার এডমিন শাহ জাহান সেলিম বলেন, প্রতি বছরই আমরা এমন মহড়া
দিয়ে থাকি। তবে এবার অনেক কিছুই আপডেট হয়েছে। আমরাও নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়েছি।
যেকোনো দেশের সঙ্গে সাইবার যুদ্ধে আমাদের নীতি ছিল ‘ফার্স্ট স্ট্রাইক’। আমাদের এই নীতিকেই
অন্যান্য দেশের হ্যাকাররা ভয় পেয়ে থাকে।
খবর বিভাগঃ
তথ্য ও প্রযুক্তি
0 facebook: