আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতে এক এক করে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত জুন মাসের ২৪ তারিখে ঝাড়খণ্ডে তাবরেজ আনসারী নামের ২৪ বছরের এক মুসলিম যুবককে মিথ্যে চুরির অভিযোগে ১৮ ঘন্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এমনকি তাকে জোর করে জয়শ্রীরাম ও জয়হনুমানও বলানো হয়। তার পরেও তার রক্ষে হয়নি। দেশজুড়ে প্রতিবাদের জেরে ১১ জনকে গ্ৰেফতার ও দুজন পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে সংসদে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং পরবর্তীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলে। কিন্তু তারপরেও আবার। তাবরেজ হত্যার রেস কাটতে না কাটতেই ফের সন্দেহের বসে বিহারে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা। ঘটনায় আবার গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড় ও তীব্র নিন্দা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে বিহারের সানন জেলার বয়ানীপুর এলাকার অপরিচিত চারজন লোক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। গ্ৰামবাসীদের দাবি, ওই চার জন লোক গরু চুরি করতে এসেছে। এর পরই স্থানীয়রা তাদের ধরে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। ঘটনাস্থান থেকে একজন ছুটে পালিয়ে কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু বাকি ৩ জনের সেখানেই মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ঘটতেই পুলিশ দ্রুত পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ওই তিনজন ব্যক্তিকে পুলিশ বাঁচাতে পারেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই তাদের মৃত্যু হয়। পুলিশ মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্র- ন্যাশন্যাল হেরাল্ড
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
ভারত
0 facebook: