হেমন্ত তারকেশ্বরের পূর্ব রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। তাঁর বাড়িও এই গ্রামে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির পর সন্ধ্যার সময়ে বিজেপির লোকেরা আসে পঞ্চায়েত অফিসে। হেমন্তকে টেনে এনে জোর করে জয় শ্রীরাম বলানোর চেষ্টা করে আক্রমণকারীরা। তিনি না বলায় তাঁকে অফিস থেকে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তারকেশ্বর থানার পুলিশ। আহত হেমন্তকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হেমন্ত বলেন, ‘আমি ও অন্য কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। প্রধান ফটকে তালা চাবি দেওয়ার কাজ চলছিল। তখনই হাতে লাঠিসোঁটা, লোহার রড নিয়ে বিজেপির এক দল লোক আমাকে টানতে টানতে নিয়ে যায়। মুখে ঘুষি মারে। ওরা আমাকে জোর করে জয় শ্রীরাম বলানোর চেষ্টা করে। না বলায় আমাকে সেখানেই ফেলে মারতে থাকে।’
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘ওরা এত কাটমানি খেয়েছে যে মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না। শুনেছি ওঁর এ দিন টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাটমানি ফেরত দেয়নি। যারা মারধর করেছে তারা কেউ বিজেপির নয়।’ বিজেপির জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘ডেপুটেশন শেষে বাড়ি ফেরার পথে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক এটা করেছে। তারা কেউ বিজেপির নয়, সাধারণ মানুষ।’
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
ভারত
0 facebook: