20 July 2019

যাচাই না করে দেশবিরোধী ইসকনপন্থী প্রিয়া সাহাকে পত্রিকার ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছিল


স্টাফ রিপোর্টার॥ সমাজের দলিত শ্রেণীর মানুষের অধিকার আদায়ের নামে বিভিন্ন দাতা দেশ থেকে কোটি কোটি টাকার অনুদান এনে দলিতদের জন্য তেমন কিছু না করে নিজের আখের গুছিয়েছে প্রিয়া সাহা। ঢাকায় অভিজাত এলাকায় ওই টাকায় চরম উচ্ছৃঙ্খল অশ্লীল জীবনযাপন করতো সে। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করে সে। তার গ্রামের বাড়ি চরবানিরী, মাটিভাঙ্গা, নাজিরপুর, পিরোজপুর।

প্রিয়ার স্বামী মলয় সাহা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সহকারী উপ-পরিচালক। তাদের দুই মেয়ে কয়েক বছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করছে লাক্সারিয়াস স্টাইলে। কিছুদিন পূর্বে প্রিয়া সাহা আমেরিকায় যা

তার ব্যপারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে আরো তথ্যা বেরিয়ে এসেছে, প্রিয়া সাহা ওরফে প্রিয়া বালা বিশ্বাস চলতি বছরের ১২ জুন তারিখে একটি মাসিক পত্রিকার ছাড়পত্র নিয়েছে। মাসিক দলিত কণ্ঠনামের পত্রিকাটির ছাড়পত্রে সে নিজে বিবাহিত হওয়ার পরেও স্বামীর নাম ব্যবহার না করে পিতা মৃত নগেন্দ্র নাথ বিশ্বাস কে অভিভাবক হিসাবে ব্যবহার করেছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশী অনুদান লুটপাটের আশায় এই বিতর্কিত মহিলা প্রত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করেছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থ বিরোধী কোনো সংবাদ সে পরিবেশন করবে না। কিন্তু পত্রিকাটির ডিক্লারেশন পাওয়ার মাত্র ১ মাসের মধ্যেই আমেরিকয়ায় গিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী এমন সব কথা বলেছে যা ইতিহাসেও কেউ কখনো বলেছে বলে খুজে পাওয়া যাবেনা। উল্লেখ্য, প্রিয়া সাহাকে এই দলিত কণ্ঠ পত্রিকাটির অনুমোদন দেয় ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল, কিভাবে সে কোনো ধরণের খোঁজ খবর না নিয়ে পত্রিকাটির অনুমোদন দিলো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এই পত্রিকাটির মাধ্যমে সে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করচে কিনা, প্রিয়া সাহার অতীত অপকর্মগুলো বিবেচনায় কেন নেয়া হয়নি, সেটির দায়ভারও কাজী নাহিদ রসুলকে নিতে হবে বলেও মনে করেন অনেকে। এই পত্রিকাটির সব ধরণের প্রচার প্রকাশনা অবিলম্বে বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন সচেতন বাংলাদেশিরা।

এদিকে, প্রিয়া সাহাকে ট্রাম্প পর্যন্ত পৌঁছাতে যারা কাজ করেছে তাদের সবাইকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিচার ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক প্রিয়াংকা দে এ প্রসঙ্গে ভোরের পাতাকে বলেন, ‘প্রিয়া সাহা শুধু হিন্দু ধর্মের লোকদের নয়, পুরো বাংলাদেশকেই বিপদে ফেলে দিয়েছে। একই সঙ্গে মৌলবাদীদের হাতে চমৎকার একটি ইস্যুও তুলে দিয়েছে। এর প্রভাবে পানি যে কতো ঘোলা হবে তা আমরা ধারণা করতে পারছি না। আমার বিশ্বাস সে কোন ম্যাসাকারের অপেক্ষায় আছে। আশা করি, সরকার কোন বুদ্ধিদীপ্ত সমাধান বের করবে। ইতিপূর্বে এগুলো মোকাবেলা করার অভ্যাস সরকারের আছে।

সাংবাদিক রুদ্র সাইফুল লিখেছেন, ‘প্রিয়া সাহা মহিলা ঐক্য পরিষদর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, রোকেয়া হলে থাকতেন। এখন একটি এনজিও আছে ওনার।

প্রিয়ার স্বামী মলয় সাহা সহকারী উপপরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), তাদের দুই মেয়ে কয়েক বছর ধরে মলয় সাহার দুর্নীতির টাকায় আমেরিকায় বসবাস করছেন, কিছুদিন পূর্বে প্রিয়া সাহাকে দুদকের অফিসিয়াল গাড়ি ব্যবহার করে এয়ারপোর্টে পৌছে দেন তার স্বামী, দুদকের সহকারী পরিচালক মলয় সাহা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সকালে এয়ারপোর্ট পৌছে ফ্লাইট মিস করেন প্রিয়া, তারপর সেদিন রাতেই আরেকটি ফ্লাইটে তিনি আমেরিকায় রওনা হন, তার বিদায় মুহূর্তে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আকবর কবিরের কন্যা তথাকথিত মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির।

প্রিয়া সাহার এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গী হওয়ায় তার স্বামী মলয় সাহাকে অতিদ্রুত চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক; ভুলে গেলে চলবে না তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে অলরেডি অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন বাংলাদেশের।

এদিকে, প্রিয়া সাহাকে তিলে তিলে গড়ে তুলতে বাংলাদেশেই অবস্থানকারী কয়েকজন প্রভাবশালী হিন্দুত্ববাদের নেতা যারা কথায় কথায় এদেশের খেয়ে পরে এদেশকে হেয় করে তারা রয়েছেন। এসব ষড়যন্ত্রকারীরা কোনোদিনই বাংলাদেশের ভালো চায় না বলেই প্রিয়া সাহাকে নেপথ্যে থেকে শক্তি জুগিয়েছেন। আগামী পর্বে প্রিয়া সাহার নেপথ্য কারিগরদের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হবে।


শেয়ার করুন

0 facebook: