![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশাল ঢাকঢোল পিটিয়ে দিল্লি থেকে আইএস সন্ত্রাসী ধরার খবর প্রচার করছিল এনআইএ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুহাম্মদ ইরশাদ, এবং রাইস আহমেদ, জাইদ মালিক এবং মুহাম্মদ আজমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস মামলা প্রত্যাহার করতে চাইছে তারা। ভারতের প্রখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা যারা সন্থাস ও বিস্ফোরণ নিয়ে তদন্ত করে চলেছে তারা অবশেষে জানাল এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমান নেই তাদের কাছে। উত্তরপ্রদেশের এমরোহা এবং এবং দিল্লি থেকে এই চারজন ছাড়াও আরও ছয়জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন দিল্লির এক মসজিদের ইমাম ও মুফতি। এনআইএ-র অভিযোগ ছিল–
(১) ধৃতরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস বা আইসিস-এর ভারত মডিউল বা শাখার সঙ্গে যুক্ত। তারা ব্যাপক পরিমানে বারুদ, গান পাউডার সংগ্রহ করেছে। তারা আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হিসাবে ভারতে কোথাও না কোথাও বিস্ফোরণ ঘটাবে। রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করবে।
(১) ধৃতরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস বা আইসিস-এর ভারত মডিউল বা শাখার সঙ্গে যুক্ত। তারা ব্যাপক পরিমানে বারুদ, গান পাউডার সংগ্রহ করেছে। তারা আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হিসাবে ভারতে কোথাও না কোথাও বিস্ফোরণ ঘটাবে। রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করবে।
(২) ধৃতরা পাইপ বোমা বানাবে তাদের কাছে পাইপ ও বোমা পাওয়া গেছে।
(৩) তাদের মধ্যে একজন রকেট লঞ্চার বানাতে সিদ্ধহস্ত। রকেট লঞ্চার বানানোর সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত ও হয়েছে।
(৪) তারা যুবকদের অনুপ্রাণিত করছে আত্মঘাতি সন্ত্রাসী হিসাবে নাম লেখাতে।
অভিযুক্তদের আইনজীবী এম এস খান জানিয়েছেন, এনআইএ আদালত স্বীকার করেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ নেই তাদের কাছে। সেই জন্য মামলা প্রত্যাহার করা হবে।তবে তদন্ত জারি থাকবে।
চারজন অভিযুক্ত এ মাসেই ছাড়া পেতে চলেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ইরশাদ আমরোহার বাসিন্দা। পেশায় অটো রিকশাচালক। রইস আহমদ আমরোহার বাসিন্দা। একটা ওয়েল্ডিং কারখানার শ্রমিক। জাইদ মালিক পূর্ব দিল্লির জাফরবাদে থাকে। আহমদ দিল্লির সিলমপুরে একটি মেডিক্যাল স্টোর চালায়। ইরশাদের বিরুদ্ধে এন আই-এর অভিযোগ ছিল সে মূল অভিযুক্ত মুহাম্মদ সুহাইলকে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছে। বোমা তৈরির মাল মসলা লুকিয়ে ফেলেছে ইরশাদ। আহমদ আর সাঈদ এই দু’জন কমপক্ষে ২৫ কোটি গান পাউডার সংগ্রহ করেছে বোমা বানানোর জন্য।সন্ত্রাসের কাজ ঠিকভাবে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য তারা লকেট লঞ্চারও তৈরি করেছিল।
দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে চার্জশিট পেশ করা হয় ১০ জনের বিরুদ্ধে। প্রথমে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এনআইএ প্রেস বৈঠক করে এই সন্ত্রাসী চক্র সম্পর্কে যা জানিয়েছিল , তা রীতিমত ভয়ঙ্কর। এরা ‘হরকাত উল হারব এ ইসলাম’ নামে সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যুক্ত। দিল্লির ছয় জায়গায় ও উত্তরপ্রদেশে ১১ টি জায়গায় একসঙ্গে তল্লাশি চালানো হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন মুফতি,একজন নয়াডার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র একজন দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র একজন অটোচালক আর দু’জন ওয়েল্ডিং কারখানার শ্রমিক। উত্তরপ্রদেশ থেকে পাঁচজন আর দিল্লি থেকে ৫-৬ জনকে ধরা হয়। এনআইএ কে সাহায্য করে স্পেশাল সেল দিল্লি পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা।
এনআইএ জানিয়েছিল তারা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে যেসব সন্ত্রাসী উপকরণ, তার মধ্যে রয়েছে ২৫ কেজি পটাশিয়াম,নাইট্রেড, আমোনিয়াম নাইট্রেড,ও সালফার, ৯৩ টি মোবাইল ফোন, ১৩৪ টি সিম কার্ড, ৩ টে ল্যাপটপ,প্রচুর ছুরি আর তরবারি,আইএস-এর প্রচার পুস্তিকা, ইস্টিলের পাত্র এবং তামার তার, লকেট সঞ্চারের সামগ্রী, লোহার পাইপ, আত্মঘাতী সন্ত্রাসীদের ব্যাবহারের জন্য জ্যাকেট,১১২টা এলার্ম ঘড়ি। গ্রেফতার যাদের করা হয়েছিল তাদের নাম, মুফতি মুহাম্মদ সুয়ায়েল (২৯), আনিস ইউনুস (২৪), জাফর (২৩), সাঈদ (২৮), সাইদের ভাই রইস (২০), জাইদ (২২), সাকিব (২৬),ইরশাদ (২০), মুহাম্মদ আজম (৩৫)। তাদের একাধিকবার জেরা করা হয় তারপর পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলে। জেলে ধরে রাখার এতদিন পর এনআইএ আদালতে জানাচ্ছে তাঁদের কাছে তথ্য প্রমাণ নেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ছয় মাস জেলে থাকার পর চার জন মুক্তি পেতে চলেছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ভারত
0 facebook: