মাহমুদ কোরেশি, প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও মেভলুত চাভুসওলু |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ভারত অধিকৃত বিরোধীয় জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে চলামান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানকে সব ধরণের সমর্থন জানিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। একারণেই সোমবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এরদোগানকে ধন্যবাদ জানানো হয়। কয়েক দশক ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উপত্যকাটি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। খবর ইয়েনি শাফাকের।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি তার তুরস্কের সমকক্ষ মেভলুত চাভুসওলুর সঙ্গে টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভারত অধিকৃত নিরস্ত্র জম্মু-কাশ্মীরি মুসলমানদের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোরেশি টেলিফোনে মেভ্লুত চাভুসওলুর সঙ্গে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে বিরোধীয় হিমালয় ঘেরা উপত্যকাটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে।
ভারত চলতি মাসের ৫ আগস্ট দেশটির সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়। ওই অঞ্চলটিকে দুটি রাজ্যে বিভক্ত করেছে। এরপর থেকে কার্যত জম্মু-কাশ্মীর ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে উপত্যকাটিতে ৫০ হাজারের বেশি সেনা ও কর্মকর্তা মোতায়েন করে ভারত। হিমালয় ঘেরা অঞ্চলটিতে কারফিউ জারি করে। আটক করা হয় মুসলিম নেতাদের।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে নিয়মিতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক হাজার স্বাধীনতাকামীকে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কাশ্মীর অঞ্চলে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও মোবাইল পরিসেবা বন্ধ করে দেয়। ওই অঞ্চলটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন করে দেয়া হয়।
এমন সব ঘটনার পর তুর্কি সরকার কাশ্মীর ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তুরস্ক মুসলিম উম্মাহকে সমর্থন করায় আঙ্কারার প্রসংশা করেছেন। তিনি বলেন, যে কোনো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পাকিস্তান এবং তুরস্ক উভয় একে অপরকে সমর্থন করবে।
তিনি আঙ্কারাকে উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ ও চলমান কারফিউ শেষ করতে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
কাশ্মীরের বিষয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর তুরস্ক বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিশদ বিবৃতি দিয়েছে; যাতে জাতিসংঘের রেজুলেশনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দীর্ঘকালীন বিরোধ নিষ্পত্তি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাশ্মীর নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন বৈঠকে সম্মত হয়েছেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
তুরস্ক
পাকিস্থান
0 facebook: