অরুণ জেটলি |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ভারতের প্রত্যেক্টা হিন্দুর মাথায় সব সময় একটি জিনিস ঘুরঘুর করে আর তা হলো ইসলাম বিদ্বেষ। প্রধানমন্ত্রী থেকে চা বিক্রেতা, এমন কেউ পাবেন না যার মধ্যে মুসলিম বা ইসলাম বিদ্বেষ নাই। যখনই কোন সুযোগ পাচ্ছে তখনই তারা তদের বিদ্বেষ উগলে দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন হচ্ছে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের নাম। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সদ্যপ্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নামে নামকরণ করা হচ্ছে স্টেডিয়ামটির। খবর এনডিটিভির।
মঙ্গলবার এক টুইটে দিল্লি প্রাদেশিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ) জানায়, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের নামকরণ আনুষ্ঠানিকভাবে অরুণ জেটলির নামে করা হবে। নতুন নামকরণের পর স্টেডিয়ামটির নাম হবে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম।
ডিডিসিএর প্রেসিডেন্ট রজত শর্মা জানায়, ১৯৯৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মোট ১৪ বছর ডিডিসিএর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে অরুণ জেটলি। যদিও বলা হচ্ছে যে দিল্লির ক্রিকেটে তার অবদানের প্রতি সম্মান জানাতেই ডিডিসিএ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু মূলত তা তাদের ইসলাম বিদ্বেষ থেকেই তারা করছে।
রজত শর্মা আরো বলে, ‘অরুণ জেটলির সমর্থন ও অনুপ্রেরণাতেই বিরাট কোহলি, বীরেন্দ্র শেবাগ, গৌতম গম্ভীর, আশিস নেহরা, ঋষভ পন্তদের মতো খেলোয়াড় উঠে এসেছে। তার মেয়াদেই এই স্টেডিয়াম নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। যে মানুষটি এই স্টেডিয়ামের পুনর্গঠন করেছিল সে ছাড়া আর কার নামে এই স্টেডিয়াম হতে পারে।’
এর আগে সোমবার সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও সংসদ সদস্য গৌতম গম্ভীর দিল্লির লেফটেন্যান্ট অনিল বৈজলকে একটি চিঠিতে অনুরোধ করেন যমুনা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নাম প্রয়াত অরুণ জেটলির নামে হওয়া উচিত।
এক টুইট বার্তায় গম্ভীর বলে,‘সে আমাদের হৃদয়ে চিরকাল থাকবেন। আমাদের প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ওই কমপ্লেক্সের নাম ‘অরুণ জেটলি কমপ্লেক্স' রাখা হোক।’
২৪ আগস্ট দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে (এইমস) মারা যায় ৬৬ বছর বয়সী অরুণ জেটলি। ১৯৯১ সাল থেকে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে ছিলেন। ১৯৯৯ সালে বাজপাইর সরকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পায় অরুণ জেটলি। পরে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তার উপর চেপেছিল।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সালে বিজেপি বিরোধী দলে ছিল। তখন অরুণ জেটলি রাজ্য সভায় বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিজেপি সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে সে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
ভারত
0 facebook: