29 August 2019

সব রসূনের কোয়া এক, কাশ্মীর ইস্যুতে রাহুলের মোদিকে সমর্থন ও আমাদের শিক্ষা

রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, সেখানে হিংসা উসকে দিয়েছে পাকিস্তান বলে মন্তব্য করেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

বুধবার টুইট বার্তায় সে একথা জানায়, পূর্বে যদিও অনেক বিষয়েই ভারত সরকারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে এসেছে এ নেতা। তবে এবার সে একেবারে পরিষ্কার বলে দিতে চায়, এই কাশ্মীরের পেছনে লাগাতার উসকানি নাকি দিয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। খবর এনডিটিভির।

শনিবার শ্রীনগর সফর করতে রাহুল গান্ধীকে বাধা দেওয়া হয় এবং বিমানবন্দর থেকেই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তখন জম্মু ও কাশ্মীর পরিচালনার বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনাও করে এ কংগ্রেস নেতা। কিন্তু রাতারাতি কাশ্মীর নিয়ে বোল পাল্টিয়েছে রাহুল গান্ধী, তার এ টুইটটি উল্লেখযোগ্য বার্তা বলেই মনে করছে মোদির রাজনৈতিক মহল।

কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই কংগ্রেস সংসদ সদস্য শশী থারুর এ মন্তব্যের সমর্থনে টুইট করে, স্পট অন, চিফ! এটিই হল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মূল মতামত। জম্মু এবং কাশ্মীর ভারতের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ; আমরা ৩৭০ ধারা বাতিল করার পদ্ধতিটির বিরোধীতা করেছি। কারণ যেভাবে এটা হয়েছে তাতে আমরা আমাদের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর অত্যাচার চালিয়েছি। আমাদের অবস্থান থেকে পাকিস্তানের কোনো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার কারণ নেই।

প্রসঙ্গত, সরকারের প্রশংসা করার জন্য এর মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছে এ নেতা। শনিবার, রাহুল গান্ধী এবং বিরোধী নেতাদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর পরে সে বলেছিল, পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে জম্মু কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। বিরোধী প্রতিনিধিরা জানিয়েছিল যে, তারা জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে চাইছে। বিশেষ মর্যাদা শেষ করার এবং এটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিভক্ত করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের পরে যে কোনো ঝামেলা থেকে বিরত রাখতে ৪ আগস্ট থেকে এই রাজ্যে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা গত ২৫ দিন ধরে গ্রেফতার রয়েছেন। কাশ্মীরেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে।

কংগ্রেসকে কাশ্মীরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলতে দেখা গেছে। সংসদে থাকাকালীন গোলাম নবি আজাদের মতো প্রবীণ নেতারা এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং মিলিন্দ দেওড়ার মতো বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা অবশ্য সিদ্ধান্তের সমর্থনেই কথা বলেছিল।

পরে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী দৃঢ়ভাবেই কংগ্রেসের অবস্থানকে স্পষ্ট করে দিয়ে জানায়, যেভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত এবং কার্যকর করা হয়েছে দল তার বিরোধীতাই করবে।


শেয়ার করুন

0 facebook: