আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মিসরীয় স্বৈরশাসক একনায়ক প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ২০১৩ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিসরে সব ধরনের গণবিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে সামরিক শাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
দীর্ঘদিন পর রাতের নীরবতা ভেঙে আকস্মিক এ বিক্ষোভে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসছে। এর মধ্যে মিসরের প্রাচীন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আল আজহার বিশ্ববিদ্যায়ের প্রধান ও দেশটির গ্রান্ড মুফতি ডা. আহমাদ তাইয়্যেবের একটি বক্তব্য ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
গত বুধবার এক বিবৃতিতে শাইখুল আজহার বলেন, নির্বাচিত শাসকের বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ জনতা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে পারবে এবং শরিয়তের দৃষ্টিতে এর বৈধতা রয়েছে। মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-আহরামে এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে স্বৈরশাসক সিসির বিরুদ্ধে মিসরীয় জনগণের আন্দোলন শুরু হওয়ার দুইদিন আগে গ্রান্ড মুফতির বক্তব্যটি প্রকাশিত হয়েছে। তবুও বর্তমান পরিস্থিতিতে এ কথাটি ব্যাপক তাৎপর্য বহন করছে।
ড. আহমাদ তাইয়্যিব বলেন, শাসকের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি শরিয়তে বৈধ। এর সঙ্গে ঈমান বা কুফরের কোনো সম্পর্ক নেই। শাসকদের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের যারা কাফের বলে তারা ইসলাম থেকে দূরে সরে পড়েছে। তারা ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা থেকে বিচ্যুত হয়েছে। তবে শাসকের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অবস্থান বড় ধরনের অপরাধ ও পাপ।
তিনি বলেন, এমনকি যারা খোলাফায়ে রাশেদিনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অবস্থান করেছে তাদেরকেও কাফের বলা হয়নি।
এই ফতোয়ার ব্যাপারে মিসরের গ্রান্ড মুফতি বলেন, আল আজহার সব সময় সবার কথা বিবেচনা করে কাজ করে এবং আমাদের শক্তি-সামর্থ্য দুর্বলকারী ও প্রতিষ্ঠানটির স্বাতন্ত্র্য বিলোপকারী বিভেদ এবং বিভাজন থেকে দূরে থাকে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
আফ্রিকা
ধর্ম ও জীবন
0 facebook: