আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। গতকাল
বুধবার (৩০ অক্টোবর) লাসাগাঁও অনলাইন মার্কেটে কেজিপ্রতি পণ্যটি ৬ থেকে ১০ রুপি দরে
বিক্রি হয়েছে।
ন্যায্য
মূল্য না পেয়ে দেশটির কৃষকরা এখন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে কেন্দ্রকে চাপ দিচ্ছেন।
এদিকে
কৃষকের চাপে কর্ণাটকে উৎপাদিত পিয়াজের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। প্রতি
চালানে সর্বোচ্চ ৯ হাজার মেট্রিকটন রপ্তানি করা যাবে বেঙ্গালুরু পিয়াঁজ। দেশটির হর্টিকালচার
কমিশনারের অনুমতি নিয়ে চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে এ পিয়াজ রপ্তানি করা যাবে।
জানা
যায়, কর্ণাটকের গোলাপি জাতের বেঙ্গালুরু পিয়াজ বাজারে চলে আসায় স্থানীয়ভাবে পণ্যটির
দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা তাদের রাজ্য সরকারকে চাপ দিচ্ছেন, যাতে করে রপ্তানি
নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে নির্বাচনও শেষ হয়ে গেছে। ফলে এ মুহূর্তে
পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা রাখার আর কোনো যৌক্তিক কারণ দেখছেন না ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
শেষে ২৮ অক্টোবর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা এক আদেশে শুধু কর্ণাটক
রাজ্যে উৎপাদিত ‘বেঙ্গালুরু গোলাপি পিয়াজ’ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
এর
আগে ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এর পর থেকেই বাংলাদেশে
পিয়াঁজের দাম বাড়তে থাকে দফায় দফায়। শেষ পর্যন্ত গতকাল পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম
কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১১৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণায় পিয়াজের দাম দু-চার দিনের মধ্যে কমে
আসবে বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের পিয়াজ ব্যবসায়ীরা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ভারত
0 facebook: