ছবিঃ আসামের মরিগাঁ জেলার একটি এনআরসি কেন্দ্রে ভুক্তভোগির নথি যাচাই করছে এনআরসি কর্মকর্তারা। |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার পর এবার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিদেশি তকমা দেয়া হলো ভারতের আসাম রাজ্যে। আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির হিসেবে বিদেশির তকমা পেলেন বিএসএফ-এর এক সাব-ইন্সপেক্টর ও তার স্ত্রী। আসামের জোড়হাটের উদয়পুর-মিকিরপাট্টির বাসিন্দা মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রীকে গত বছর ডিসেম্বরে প্রকাশিত এনআরসি তালিকা অনুযায়ী বিদেশি ঘোষণা করা হয়।
আসামের জোরহাট জেলার উদয়পুরের বাসিন্দা মুজিবুর রহমান। বর্তমানে বিএসএফের ১৪৪ নম্বর ব্যাটালিয়নে পাঞ্জাবে কর্মরত মুজিবুর রহমান গত সপ্তাহে কর্মক্ষেত্র থেকে আসামে ফিরে এই বিষয়টি জানতে পারেন।
মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন যে তার ও তার স্ত্রীর ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশী বা পাকিস্তানি নই। আমরা ভারতীয়, আসামেই জন্ম। ১৯২৩-এ আমাদের জমির রেকর্ড আছে। কিন্তু বর্ডার পুলিশ আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।’ প্রথামিকভাবে মুজিবুর ও তার স্ত্রীকে ডি ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাদের পাঠানো হয় জোরহাটে এনআরসি ট্রাইবুন্যালে। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইবুন্যাল। বিষয়টি জানতে পেরে ছুটি নিয়ে তড়িঘড়ি ঘরে ফেরেন মুজিবুর। এনআরসি ট্রাইবুন্যালের বিরুদ্ধে গৌহাটি আদালতে গেছেন মুজিবুর।
সংবাদমাধ্যমকে মুজিবুর জানিয়েছেন, ১৯২৩ সালের জমির দলিল রয়েছে আমাদের কাছে। তার পরও একজন ভারতীয়কে অবৈধ বলে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। ট্রাইবুন্যালের কোনো নোটিশ আমারা পাইনি। পঞ্চায়েত প্রধানও আমাদের কিছু বলেনি।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
0 facebook: