23 January 2018

এটি এমন একটি দোকান যেখানে কোন দোকানদার নেই, প্রশ্ন আসে তবে টাকা কে নেয়?

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বছরখানেক আগেই মানুষবিহীন দোকানের ধারণা দেখিয়েছিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন। সে ধারণার বাস্তবায়ন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। দোকানটা যে অন্য রকম, টের পাওয়া যায় ঢোকার সময়েইসারি সারি দরজা দেখে পাতাল ট্রেনের স্টেশন বলে ভ্রম হয়ক্যাশিয়ারবিহীন এই দোকানের নাম আমাজন গো ওয়াশিংটনের সিয়াটলে গতকাল সোমবার চালু হয় আমাজন গো

আমাজনের এই দোকানে ঢুকতে চাইলে স্মার্টফোনে থাকতে হবে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপঅন্যান্য সুপারশপে যা পাওয়া যায়, আঠারো শ বর্গফুটের আমাজন গোর তাকে তাকে তাই সাজানো আছেবিশেষ করে খাদ্যসামগ্রীকেনাকাটা শেষে দোকান ছেড়ে বেরিয়ে যান ক্রেতাপকেটেও হাত দেন না, ক্রেডিট কার্ডও ঘষেন নাটাকা কিন্তু ঠিকই কেটে নেওয়া হয়প্রযুক্তিটা আছে চোখের আড়ালে

চেকআউট প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় কেনাকাটার সময়ে কোনো শপিং বাস্কেট বা কার্টের প্রয়োজন নেইপণ্য সরাসরি শপিং ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলেই হলোতাক থেকে কোনো পণ্য নামালে ক্রেতার স্মার্টফোন অ্যাপের ভার্চ্যুয়াল শপিং কার্টে সে পণ্য যোগ হয়ে যায়আবার তাকে সে পণ্য রেখে দিলে অ্যাপ থেকে মুছে যায়যে দরজা দিয়ে ক্রেতারা ঢোকেন, সেদিক দিয়েই বেরিয়ে যেতে হবেঢোকার সময়ে স্মার্টফোনে থাকা আমাজন অ্যাপ স্ক্যান করাতে হয় দরজায়বেরিয়ে যাওয়ার সময় আবার দরজায় অ্যাপ স্ক্যান করলেই অ্যাপে যুক্ত ক্রেডিট কার্ড থেকে পণ্যের মূল্য কেটে নেওয়া হয়

দোকানটির প্রযুক্তি সম্পর্কে কিছু জানাতে রাজি হয়নি আমাজন কর্তৃপক্ষশুধু এটুকু জানা গিয়েছে, মেশিন লার্নিং এবং কম্পিউটার ভিশন প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছেআর দোকানজুড়ে আছে শত শত খুদে ক্যামেরাঅর্থাৎ প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে আলাদা চিপ জাতীয় কিছু লাগানো থাকছে নাক্যামেরায় পণ্য দেখেই কম্পিউটার চিনে ফেলবে কোন পণ্যটি কেনা হচ্ছে, কোন ক্রেতা তা কিনছেন

কেউ যদি ক্যামেরাগুলোকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য মোড়কে মুড়ে কোনো পণ্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে? আমাজন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে মার্কিন সাংবাদিক নিক উইংফিল্ড সে চেষ্টা করেছিলেনপারেননিতাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ কেটে নেওয়া হয়েছে

দোকানদার নেই মানে দোকানে মানুষ নেই, তা কিন্তু নারক্ষণাবেক্ষণ ও ক্রেতাকে সাহায্য করার জন্য মানুষ আছেনরাঁধুনি আছেন, যিনি নিয়মিত খাবার তৈরি করে যাচ্ছেনপরিচ্ছন্নতা কর্মী আছেনশুধু চেকআউটের ব্যবস্থা নেই, ক্যাশিয়ার নেই২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ লাখের বেশি ক্যাশিয়ার ছিলআমাজনের প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়লে তাদের অনেকের চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবেতবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা কর্মী কমিয়ে ফেলছে নাশুধু তাদের কাজ বদলে যাচ্ছে

সূত্রঃ দ্য নিউইয়র্ক টাইমস


শেয়ার করুন

0 facebook: