আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মালদ্বীপের বিরোধীদলীয় নেতা মোহাম্মদ নাশিদ চীনের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ এনেছেন। গতকাল শ্রীলঙ্কা সফরকালে নাশিদ বলেন, ভারত মহাসাগরের বিরোধপূর্ণ কিছু ক্ষুদ্র দ্বীপ দখল করছে চীন,
যা মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বের প্রতি স্পষ্ট হুমকি। নাশিদ জানান, মালদ্বীপের এক
হাজার ১৯২টি দ্বীপের মধ্যে ১৬টি দ্বীপ লিজ নিয়েছে চীন, যেখানে তারা বন্দরসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করছে।
মালদ্বীপের
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাব
মুসলিমপ্রধান দেশটিসহ পুরো ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে হুমকিতে ফেলে দিতে পারে। কলম্বোকে এক অনুষ্ঠানে নাশিদ চীনের এই কর্মকাণ্ডকে ‘ভূমি দখল’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা
ঔপনিবেশিকতাবাদ সহ্য করব না। আমরা চাই এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলো আমাদের সাথে যোগ দিয়ে চীনের এসব কর্মকাণ্ডের
বিরুদ্ধে একই সুরে কথা বলবে। আমরা কোনো দেশের বিরুদ্ধে নই, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগেরও
বিরুদ্ধে নই; কিন্তু সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দেয়াকে সমর্থন করি না।
মালদ্বীপের
বিদেশী ঋণের আশি শতাংশ চীনের কাছ থেকে নেয়ার কথা উল্লেখ করে নাশিদ বলেন, এসব ঋণ শোধ করার সামর্থ্য তার দেশের না-ও হতে পারে। তাই চীনের কাছে আর কোনো ভূখণ্ড কিংবা স্থাপনা
হস্তান্তর করা ঠিক নয়। চীনের কাছ থেকে অত্যধিক ঋণ
নেয়ার বিষয়ে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসে সরকারের অভিজ্ঞতার
স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
মালদ্বীপের
প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট (২০০৮-১২) নাশিদ এ বছর অনুষ্ঠিতব্য
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন। নাশিদ বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে
চীনের সাথে চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করবেন। বর্তমান সরকার চীনের সাথে গোপনে চুক্তি করেছে বলেও অভিযোগ
করেন তিনি।
২০১৩ সালের
নির্বাচনে নাশিদ অল্প ব্যবধানে হেরে যান আবদুল্লাহ ইয়ামিনের কাছে। পরে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে তাকে কারাগারেও নিয়েছে
সরকার। চিকিৎসার জন্য জেল থেকে ছাড়া
পেয়ে দুই বছর ধরে লন্ডনে প্রবাস জীবন যাপন করেছেন তিনি। এখনো দেশে ফিরলে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী মামলার কারণে নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা রয়েছে নাশিদের। তবে তিনি আশা করছেন, আন্তর্জাতিক চাপে এই বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে নেবে সরকার।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: