![]() |
গোপনে তুলা ছবি |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি জনপদ শান্ত থাকলেও গত কয়েক মাস
ধরে এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ঘোলাটে পরিবেশ বিরাজ করছে। পাশাপাশি তারেক ও সেলিম
বাহিনীর ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির হিড়িক পড়েছে
বলে অভিযোগ ওঠেছে।একারণেই মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকায় দেশীয় অস্ত্র তৈরির হিড়িক পড়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। যে কারণে খুবই শঙ্কিত জীবনযাপন পার করছে এ জনপদের মানুষ।
সূত্র জানায়,
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্ত্রবাজদের কাছে
দেশীয় তৈরি অস্ত্রের চাহিদা রয়েছে। কারণ কমমূল্যে সহজভাবে অস্ত্র হাতে পাওয়ার কারণে এ চাহিদা তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তার প্রমাণও
মিলেছে। দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকা
শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্র তৈরির কারিগররা পুরোদমে এলাকায় ফিরেছে। পাশাপাশি নেমে পড়েছে অবৈধ
অস্ত্র তৈরির কাজে।
স্থানীয়দের মতে,
থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি
মহেশখালীর কালারমারছড়ার ডজন মামলার আসামি নুরুল আলম প্রকাশ (কালাবদা), চাঁদাবাজি মামলার পলাতক আসামি যথাক্রমে নুনাছড়ির মুহম্মদ আলী,
কালা জাহাঙ্গীর, আবদুর রশিদ,
রবি আলম ও আবু জাফর প্রকাশ আবুজাইলের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ
প্রতিনিয়ত পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরি করে চলেছে। আর এ গ্রুপটিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে নিজের আধিপত্য ধরে
রাখছেন কালারমারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মুহম্মদ শাহ ঘোনার তারেক বিন শরীফ। সন্ত্রাসী গ্রুপের
নেতৃত্বদানকারী ছাড়াও তারেকের বিরুদ্ধে রয়েছে স্থানীয় অসহায় মানুষের জমি, চিংড়ি প্রজেক্ট দখলের অভিযোগ।
এ বিষয়ে তারেক
বিন শরীফ বলেন, মূলত আমাকে রাজনৈতিক ও
সামাজিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়া ও সেলিম চৌধুরীর
সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়ানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে অপবাদ চালিয়ে
যাচ্ছে। সূত্র জানায়, চার দলীয় জোট সরকারের আমলে মহেশখালীকে অস্ত্র ও সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ডের স্বর্গরাজ্য সৃষ্টির মূল হোতা যুবদল নেতা কালারমারছড়ার মোহাম্মদ শাহ
ঘোনার জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়ার নেতৃত্বে রয়েছে অস্ত্র তৈরির পৃথক আরেকটি কারখানা। বর্তমান সময়ে বিএনপির আন্দোলনে
নাশকতা-অরাজকতা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অস্ত্র সরবরাহ দেয়ার অভিযোগ
উঠেছে জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়ার বিরুদ্ধে।
এ বাহিনীতে
রয়েছে একাধিক মামলার আসামি মোহাম্মদ শাহ ঘোনার মিজান, জাফর ও নুনাছড়ির এরফান, রফিক, মো. উল্লাহ, বেলাল, শাহাবউদ্দিন ও শাহাজান। সূত্র মতে, মূলত এ গ্রুপের নেতৃত্বে
পাহাড়ি এলাকায় বর্তমানে চলছে অস্ত্র তৈরির রমরমা বাণিজ্য। তবে এ গ্রুপটিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন নুনাছড়ির
সেলিম চৌধুরী।
স্থানীয়দের মতে,
সম্প্রতি সেলিম চৌধুরীর নেতৃত্বে জিয়া বাহিনীর একাধিক
সন্ত্রাসী স্থানীয় পৃথক দুই যুবকের চোখ উপড়ে ফেলেছে এবং পা কেটে নিয়েছে। তবে সেলিম চৌধুরীর দাবি,
আমি ভালো পরিবারের সন্তান। স্থানীয় চেয়ারম্যান তারেক বিন শরীফ অসহায় হাজারও
মানুষের জমি দখল করে নিয়েছে। আমি এসবের প্রতিবাদ করার কারণে আমাকে ঘায়েল করার জন্য জিয়া বাহিনীর প্রধান
হিসেবে এস্ট্যাবলিশ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া দ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে আরও
একাধিক অস্ত্র তৈরির কারখানা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- কালারমারছড়ার ফকিরজুমপাড়া পাহাড়ি এলাকা, বড় মহেশখালীর বড়ডেইল পাহাড়, শুকুরিয়াপাড়ার পাহাড়, ষাইটমারাসহ পাহাড়ের চূড়ায়
প্রায় ৫-৭ ফুট মাটির ভেতর গর্ত করে অস্ত্র তৈরির ৭টির মতো ভ্রাম্যমাণ কারখানা।
মহেশখালী থানার
অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, তালিকাভুক্ত
সন্ত্রাসী ও দাগী আসামিরা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে এ জন্য সর্বদা পাহাড়ি
এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে অভিযান জোরদার করা
হয়েছে।
খবর বিভাগঃ
অপরাধ
জেলা সংবাদ
0 facebook: