জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের ওই তরুণীর
নাম স্বপ্না। সোমবার রাতে তার বিয়ে হয়। বাড়ির সকলের মত নিয়েই আনুষ্ঠানিক বিয়ে। বিয়েতে আপত্তি ছিল না তরুণীর। তবে মনে মনে পণ করেছিলেন, বিয়ের পরও পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। ঘটনাচক্রে বিয়ের পরদিনই ছিল পরীক্ষা। রাতে বিয়ের পর সকালে পরীক্ষার হলে আদৌ পৌঁছাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে খানিকটা সন্দেহ ছিলই। তবে মনের জোর
হারাননি। ভালোই ভালোই বিয়ের
অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আত্মীয়-স্বজনরাও ফিরে যান। এরপরই মায়ের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলেন ওই তরুণী। আপত্তি করেননি অভিভাবকরা। তবে
শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা এতে রাজি হবেন কিনা,
তাও একটা বড়
বিষয় ছিল। বিশেষত বিয়ের পরদিনই
অনুমতি না মিললে একটা বছর নষ্ট হত স্বপ্নার। তরুণীর অভিভাবকরাই মেয়ের ইচ্ছের কথা জানান তাদের। তারাও অমত করেননি। ফলে পরীক্ষা
দেওয়ার পথে আর কোনও বাধা ছিল না। সকালে বিবাহের
পরবর্তী অনুষ্ঠান শেষ করেই পরীক্ষার হলের উদ্দেশে রওনা দেন স্বপ্না।
নিজের স্বপ্নপূরণের কথা জানিয়ে স্বপ্না বলেন, তিনি বরাবরই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছেন। বিয়ে ঠিক হয়েছে পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী। তাতে কোনও আপত্তি নেই স্বপ্নার। তিনি চেয়েছিলেন, বিয়ের পরও পড়া চালিয়ে যেতে। দুই বাড়ির
সদস্যরাই যে তাতে রাজি হয়েছেন, এতেই খুশি স্বপ্না। খুশি তার শিক্ষিকা ও সহাপাঠীরাও। তার জেদ যেন নারী শিক্ষার পথ দেখাচ্ছে গোটা
দেশের তরুণীদেরই।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: