17 March 2018

সিরিয়ায় ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছেহাজার হাজার নারী ও শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছেযুদ্ধের বিভিন্ন পক্ষ অব্যাহতভাবে ভয়াবহ এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেএসব কর্মকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যায়

জাতিসংঘের অনুসন্ধানী এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছেধর্ষণের শিকার নারী-শিশু, তাদের আত্মীয়স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী, আইনজীবী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে ৪৫৪টি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন ইউএন কমিশন অব ইনকয়ারির তদন্তকারীরা২৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার করা হয়

প্রতিবেদনে জাতিসংঘ তদন্তকারীরা বলেন, অসংখ্য নারী-শিশু-কিশোরী এমনকি ছেলেদেরকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করেছে সিরিয়ার সরকারি ও মিত্রবাহিনীসরকারবিরোধী গোষ্ঠীকে শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে তারা গত প্রায় ৮ বছরের যুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও যৌন নির্যাতন চালিয়েছেতবে সরকারি বাহিনীর তুলনায় তাদের নির্যাতনের মাত্রা কম

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইএস এবং অন্য গোষ্ঠীগুলো অবৈধ যৌনাচারের অভিযোগে অসংখ্য নারী, পুরুষ এবং শিশু-কিশোরকে শির-েদ করে হত্যা করেছেশিশু-কিশোরীদেরকে জোর করে তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে বিয়ে বা যৌনতায় বাধ্য করেছে প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকে বাড়ি তল্লাশিকালে এবং স্থল অভিযানের সময় অসংখ্য বেসামরিক নারী-পুরুষকে ধর্ষণ করেছে সরকারি বাহিনীপরে সেনা চৌকি ও বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে নিয়ে তাদেরকে ধর্ষণ করা হয়

তদন্তকারীরা বলেন, ‘সিরিয়ার সরকারের সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ২০টি আস্তানা নারী ও মেয়ে শিশুদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছেএছাড়া পুরুষ ও বালকদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১৫টি আস্তানাএদিকে অবরুদ্ধ পূর্ব ঘৌটা থেকে বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার অধিবাসী বের হয়ে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেরাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ শুক্রবার জানান, বৃহস্পতিবার প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা পূর্ব ঘৌটা ছেড়েছেন


শেয়ার করুন

0 facebook: