![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরাকে ১২ মে
পার্লামেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। ভোটাররা ৩২৯ পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত করবেন। নির্বাচিত এই পার্লামেন্ট
সদস্যরা একটি সরকার গঠন করবেন এবং একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট বেছে নিবেন। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন
জোটের আগ্রাসনের পর এ নিয়ে দেশটিতে চতুর্থ দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে প্রায় দুই কোটি ৪৫ লাখ নিবন্ধিত ভোটার
তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। দেশটির লোকসংখ্যা তিন কোটি ৫০ লাখ। ১৮টি প্রদেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দেশব্যাপী আট
হাজার ১৪৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। ইলেক্ট্রোনিক পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইরাকি কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে।
দুই লাখ ৮৫ হাজার
৫৬৪ অভ্যন্তরীণ শরণার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। দেশের আটটি প্রদেশের ৭০টি শিবিরের ১৬৬টি ভোটকেন্দ্রের
একটিতে এরা ভোট দিতে পারবে। এছাড়া ১৯টি দেশে অবস্থানরত ইরাকিরাও ভোট দিতে পারবে। এবারের নির্বাচনে ছয় হাজার ৯৮২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদের মধ্যে দুই হাজার ১৪ জন
নারী রয়েছেন। এইসব প্রার্থী ৩২৯টি আসনের
জন্য লড়বেন। নয়টি আসন খ্রিষ্টান, শাবাক, ইয়েজিদি, মান্দিয়ান ও ফাইলি কুর্দিদের জন্য এবং ৮৩টি নারীদের জন্য
সংরক্ষিত আছে।
দলীয় অবস্থানের
ওপর ভিত্তি করেই প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। এরা চার বছরের জন্য পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হতে
যাচ্ছেন। এ বছরের নির্বাচনে ৮৭টি দল অংশ
নিচ্ছে। প্রধান প্রধান দলগুলো হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির
নেতৃত্বাধীন ভিক্টোরি কোয়ালিশন। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর এই প্রথমবারের মতো এ বছর তার সবচেয়ে
প্রাচীন প্রতিদ্বন্দ্বি শিয়া দাওয়া পার্টিটি বিভক্ত হয়ে গেছে। হাদি আল-আমেরির নেতৃত্বাধীন কনকুয়েস্ট অ্যালিয়েন্স,
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকি’র নেতৃত্বাধীন রুল অব ল’ অ্যালাইয়েন্স, মার্চিং টুওয়ার্ডস রিফর্ম। এটি শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদর ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর
মধ্যে ঐক্যজোটের দল।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: