![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তান বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ইসলামি দেশগুলোর সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সৌদি আরবের উদ্যোগে মুসলিম সামরিক জোটভুক্ত দেশগুলোর সেনাদের এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। বাংলাদেশও এই জোটের অন্তর্ভুক্ত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব দেশের সামরিক বাহিনীকে আধুনিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করবে তাদের দেশ।
জাতীয় নিরাপত্তা নীতির মতো বিষয়গুলোতেও সহায়তা দেবে পাকিস্তান। সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পরই এ বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি অনুমোদন করবেন। ইসলামি সামরিক জোটের ভূমিকা নিয়ে ইতোমধ্যে বিস্তারিত কথা বলেছে পাকিস্তান ও সৌদি আরব। সম্প্রতি জোটকে এগিয়ে নিতে পাকিস্তানকে অনুরোধও করেছে সৌদি সরকার। এখানে পাকিস্তান সরকারের ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার সূত্র জানিয়েছে, দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে। কূটনৈতিকপর্যায়ে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনতেও কাজ করেছে পাকিস্তান। দেশটি এক্ষেত্রে তার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, যেকোনো সঙ্কটপূর্ণ সময়ে তারা পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়াবে। পবিত্র কাবা শরিফসহ সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় সম্ভাব্য সব সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। ইসলামি সামরিক জোটভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তা দিতে সমন্বিত একটি নীতি প্রণয়নের ব্যাপারেও একমত দুই দেশ। স্থল, নৌ ও আকাশ- সবক্ষেত্রে এই নীতি প্রণয়ন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে দেশটি।
লাহোরের মুঘল ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগ
আলজাজিরা
পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে মুঘল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চায় পাকিস্তান। ঐতিহাসিক স্থাপনায় সমৃদ্ধ মুঘল শাসনামলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে লাহোর। শহরটির স্থাপনাগুলো শত বছরের অমনোযোগের ফলে ক্রমে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল। সম্প্রতি পাকিস্তান এই শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংরক্ষণ ও সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনার একটি বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ওয়ার্ল্ড সিটি অব লাহোর অথরিটির পরিচালক কামরান লাশেরি বলেন, ‘লাহোরে আপনি হাজার বছরের ইতিহাস, পাঁচ শ’ বছর বয়সী স্থাপনা, মসজিদ ও মাজার এবং পরিপূর্ণ এক শান্তিময় পরিবেশের সন্ধান পাবেন।’ লাহোরের প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো লাহোর দুর্গ একাদশ শতাব্দীর স্থাপত্য নির্দশন। দুর্গটি প্রথমে মাটির নির্মিত হলেও পরে মুঘলেরা এটি পাথর দ্বারা তৈরি করে।
ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব এশিয়ান আর্টসের প্রেসিডেন্ট সোফি মাকারিও বলেন, ‘লাহোর সমরকন্দের সাথে প্রতিযোগিতা করার যোগ্য। শহরটি ইস্পাহানের সাথেই সাদৃশ্যপূর্ণ।’ তিনি জানান, অন্যান্য অঞ্চলের মতো লাহোরের পর্যটনের বিকাশ না ঘটার একটি কারণ পাকিস্তানের নিরাপত্তাঝুঁকি। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তায় পাকিস্তানের বিরূপ ভাবমূর্তির কারণে লাহোর পর্যটকদের কাছে অপরিচিতই রয়ে গেছে।’ নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে লাহোরে পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন লাহোরের পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বর্তমানে লাহোরের পুরনো নগরী সংস্কারকাজের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের চল্লিশজনের অধিক বিশেষজ্ঞ সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। ওয়ার্ল্ড সিটি অব লাহোর অথরিটি সার্বিক বিষয় পরিচালনা করছে।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: