আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চার বছরে প্রথমবার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। বেলা এগারোটা থেকে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। প্রস্তাবের উপর আলোচনাসহ পুরো প্রক্রিয়ার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭ ঘণ্টা। আলোচনার শেষে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হতে পারে বলে স্থানীয় ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
এনডিএ জোটসহ বিজেপি ভোটাভুটিতে জয়ের ব্যাপারে পুরো আত্মবিশ্বাসী। এরপরও ক্ষমতাসীন দলটি নিজেদের সব আসন ধরে রাখা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরাও যতটা সম্ভব সংখ্যা বাড়াতে তৎপর। বিরোধীরা যে সরকারের বিরুদ্ধে একজোট সেটা প্রমাণেরও মরিয়া চেষ্টা চলছে।
প্রতিটি দলের সাংসদ সংখ্যার নিরীখে আলোচনার সময় বরাদ্দ করেছেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। সেই অনুযায়ী বিজেপি সাংসদরা আলোচনার সময় মোট তিন ঘণ্টা ৩৩ মিনিট। কংগ্রেসের জন্য বরাদ্দ ৩৮ মিনিট। দলের পক্ষে রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি বলবেন মল্লিকার্জুন খড়েগ।
কংগ্রেস, এনসিপি, সিপিআইএম, টিডিপি এবং এআইএমএম অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও লটারিতে টিডিপির প্রস্তাবই গৃহীত হয়। তাই সবার আগে টিডিপির সাংসদরা আলোচনা শুরু করবেন। এআইএডিএমকে ২৯ মিনিট, তৃণমূল ২৭, বিজেডি ১৫ এবং টিআরএস-এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯ মিনিট সময়।
কৃষি ও কৃষকদের সমস্যা, অর্থনীতির দুরবস্থা, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি, গুজবের জেরে গণপিটুনির মতো ইস্যুতে ঝড় তুলবেন কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। বিরোধীদের বক্তব্যের জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভার একটি সূত্রে খবর প্রধানমন্ত্রী প্রায় দেড় ঘণ্টার জবাবি ভাষণ দিতে পারেন। তারপর ভোটাভুটি হতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালেই অনাস্থা নিয়ে টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে আজ গুরুত্বপূর্ণ দিন। আশা করি আমার সহকর্মীরা গঠনমূলক, সুসংহত ও বিশৃঙ্খলা মুক্ত আলোচনা করবেন। গোটা দেশ আজ আমাদের উপর নজর রাখবে এবং দেখবে।’
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: