08 September 2018

ইয়েমেন সঙ্কট নিয়ে সমালোচনার মুখে বাদশাহ ও যুবরাজ


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইয়েমেনে দীর্ঘদিন ধরে হামলার কারণে চরম সমালোচনা মুখে পড়েছেন সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে জাতিসংঘ; এমনকি সৌদি রাজপরিবারের মধ্যেও এ নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের দমনে সৌদি জোট কয়েক বছর ধরে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে দারিদ্র্যপীড়িত দেশটিতে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ গত মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি জোটের বিমান হামলায় একটি স্কুলের ৪০ শিশুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা দেখা দেয়।

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে এক বিক্ষোভে যোগ দিয়ে আহমেদ বিন আব্দুল আজিজ বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এর পরই রাজপরিবারে ভাঙনের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এক বিবৃতিতে রাজপরিবারের দ্বন্দ্বের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

ইয়েমেনে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে সৌদি আরবের সংশ্নিষ্টতার বিরুদ্ধে সম্প্রতি লন্ডনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ওই বিক্ষোভে যোগ দেন আহমেদ বিন আব্দুল আজিজ। ওই বিক্ষোভের একটি ভিডিও অনলাইন দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দেখা যায়, রাজপরিবারের বিরুদ্ধে স্লোগানরত বিক্ষোভকারীদের থামার আহ্বান জানিয়ে আহমেদ বিন বলেন, 'এই যুদ্ধের সঙ্গে রাজপরিবারের যোগসূত্র কী? নির্দিষ্ট কয়েকজন এর জন্য দায়ী- বাদশাহ আর যুবরাজ'।

সৌদি বাদশাহর ভাইয়ের এমন মন্তব্যসংবলিত ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। দ্রুতই সেটি ভাইরাল হয়। সমালোচনার সম্মুখীন হয় সৌদি বাদশাহ ও তার পুত্র যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থায় আহমেদ বিন আব্দুল আজিজকে উদ্ধৃত করে খবর প্রকাশ করে। ওই খবরে বলা হয়, রাজপুত্র বাদশাহকে সমালোচনা করেছেন বলে যেসব বর্ণনা করা হচ্ছে তা ‘ভুল’।

কিন্তু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে আহমেদ বিন আব্দুল আজিজের ঘনিষ্ঠজনদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, নিজের বক্তব্যে অটল রয়েছেন তিনি। সৌদি রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থায় প্রচারিত বিবৃতিকে ভুয়া আখ্যা দিয়ে বলা হয় ওই খবরে রাজপুত্রের নামে যে উদ্ধৃতি প্রকাশ হয়েছে তিনি সেসব মন্তব্য করেননি।

এই পরিস্থিতিতে নিজ দেশে না ফেরার বিষয়টি আহমেদ বিন আব্দুল আজিজ বিবেচনা করছেন। দেশে ফিরলে তাকে হয়রানি করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকতে পারেন।


শেয়ার করুন

0 facebook: