ফাইল ছবি |
গতকাল রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ইস্যুতে এক শুনানির সময় কমিটির চেয়ারম্যান রিপ্রেজেন্টেটিভ এড রয়েস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ঘোষণা করা। যারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এটি একইসঙ্গে নৈতিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাজনিত ইস্যু। মিয়ানমারে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের বিষয় ছিলো। অগে সু চির মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র স্বোচ্চার হয়েছে, এখন রোহিঙ্গাদের অধিকারের জন্য স্বোচ্চার হতে হবে।
‘জেনোসাইড অ্যাগেইনিস্ট দ্য বার্মিজ রোহিঙ্গা’ শিরোনামের শুনানিতে ডেমোক্র্যাট কমিটির প্রধান রিপ্রেজেন্টেটিভ এলিয়ট এঙ্গেল বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠাতে মার্কিন প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ ইতোমধ্যে আইসিসি বলেছে, রোহিঙ্গা নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় বিচারের এখতিয়ার তাদের রয়েছে। শুনানিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানরাও রোহিঙ্গা সংকটে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র গণহত্যা ঘোষণা করলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ওয়াশিংটনের আইনি সুযোগ বাড়বে। কয়েকজন কংগ্রেসম্যান রয়টার্সের সাজাপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। -খবর:রয়টার্স।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: