স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে সেটি আত্মহননের মতো সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয় সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘বিএসআরএফ’ সংলাপ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খুব সজ্জন ব্যক্তি, আমিও বলব। তবে তিনি খুব সুন্দর করে মিথ্যা বলতে পারেন।
‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমি অভিনন্দন জানাই যে তিনি গত নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। কিন্তু তিনি মহাসচিব হিসেবে প্রচণ্ডভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। আমি দেখেছি যে তারা বলেছেন, আগামী উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল তাদের। আগামী উপজেলা নির্বাচনেও যদি তারা অংশগ্রহণ না করে সেটিও হবে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার মহাভুলের মত, আত্মহননের মতো আরেকটি সিদ্ধান্ত। সেটি তাদের দলকে জনগণের কাছ থেকে আরো বেশি বিচ্ছিন্ন করবে।’
তবে বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে দলগতভাবে অংশ না নিলেও অনেক নেতাই অংশ নেবে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।
বিএনপি নেতারা ৩০ ডিসেম্বরকে ‘মহাবিপর্যয় দিবস’ পালন করতে চাইছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা বিএনপির জন্য মহাবিপর্যয় সেটা পালন করতে পারে। কারণ বিএনপি এ নির্বাচনের আগে যে প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া, সব কিছুই ছিল ত্রুটিযুক্ত। মনোনয়ন বাণিজ্যর মাধ্যমে ৮০০ প্রার্থীতে মনোনয়ন দেওয়া এবং মাঠে না থাকার জন্য। দলের মহাসচিব হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে, এটি বিএনপির জন্য মহাবিপর্যয় দিন সেটি পালন করতে পারে।
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যখন সাংঘর্ষিক রূপ নেয় তখন রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ রাজনীতি দেশে অবসান করলে দেশ এগিয়ে যাবে, সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান হতে হবে। হরতাল অস্ত্র যে ভোতা হয়ে গেছে, এটির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বিরাট ভূমিকা আছে। সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধ করতে আপনাদের বিরাট ভূমিকা আছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষকদের আগের চেয়ে পাল্টা মতামত নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইলেকশন অবজারভাররা যারা এসেছিল তারা একবাক্যে বলেছেন যে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও উৎসবমুখর হয়েছে। এখন কার, কোথা থেকে বক্তব্য নিয়ে কোন কোন পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপিয়েছে সেটা আসলে অনুসন্ধান করার বিষয়। তারা জনসম্মুখে যেটা বলেছে, অন-এয়ার টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে সেটি হচ্ছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
পত্রিকার সার্কুলেশন নিয়ে বলেন, আমি এ বিষয়টা ইতোমধ্যে দেখেছি। আমি বিষয়গুলো নিয়ে দেখছি। এগুলো বাস্তবসম্মত করার জন্য সেখানে যে অন্যুমেলন্স আছে সেগুলো দূর করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পত্রিকাগুলো ওয়েজবোর্ড যেন বাস্তবায়ন করে সেজন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা বসা হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের চিন্তা
সাংবাদিকদের কল্যাণে দায়িত্বের প্রথম দিন থেকেই কাজ করছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন সাংবাদিকদের কীভাবে বেতন কাঠামো নিয়মনীতির মধ্যে আনা যায় সেটাও আলোচনা করছি। একই সঙ্গে আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসী থাবা থেকে কীভাবে ঠিক রাখা যায় সেই অনুযায়ী কাজ করছি। নতুন নতুন প্রকল্প উদ্যোগ গ্রহণ করে জনগণের ও রাষ্ট্রের কল্যাণে সফলভাবে করতে পারি তার চেষ্টা করছি।
অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে ফ্ল্যাট নির্মাণেরর চিন্তা-ভাবনা করছি, কারা পাবে সাংবাদিক সমিতিগুলোই ঠিক করবে।
অনুষ্ঠানে বিএসআরএফ সভাপতি শ্যামল সরকারসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
0 facebook: