28 January 2019

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক, চার কন্যাসন্তান কে হত্যার অভিযোগ

প্রতিকি ছবি
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মণিকুমার বিশ্বাস ও রানী বিশ্বাস বাস করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাগদার সিন্দ্রানীর বাবুপাড়ায়তাদের পরিবারে আসে পর পর চার কন্যাসন্তান।  

কিন্তু এই কন্যাশিশুদের মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হয় জন্মের কয়েক দিন পরসর্বশেষ জন্ম নেয়া আরও এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয় সোমবারকিন্তু ওই কন্যার বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাতে পারেনি তারা

পরে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে১২ দিনের শিশুটির মরদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মণিকুমার বিশ্বাস ও রানী বিশ্বাসের প্রথম সন্তান জন্মায় পাঁচ বছর আগেএর আগে আরও দুটি বিয়ে করেছিলেন তিনি

বিয়ের কিছু দিন পরই তাদের ঘরে এক কন্যাসন্তান জন্মায়কয়েক দিন বেঁচে ছিল সেএর পরই মারা যায়চার বছর আগে দ্বিতীয় মেয়ের জন্ম হয়

জন্মের পর দেড় মাস পর্যন্ত সে ছিল প্রতিবেশী গীতা মণ্ডলের হেফাজতেতবে এ মেয়েটি এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেগীতার দাবি, ‘আমি চোখে চোখে না রাখলে হয় তো একেও মেরে ফেলত

বছরখানেক আগে বিশ্বাস দম্পতির তৃতীয় কন্যাসন্তান হয়মাত্র ২৩ দিনের মাথায় সেও হঠাৎ মারা যায়

এর পর তাদের ঘরে চতুর্থ কন্যাসন্তান জন্ম নেয়জন্মের ১২ দিনের মাথায় ওই মেয়ের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসী সরব হয়ে ওঠেতারা ওই দম্পতিকে বাচ্চার মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞেস করেকিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী

তাদেরই একজন সাগরিকা অধিকারী বলেন, ওরা মেয়েসন্তান চাইত নামেয়ে হওয়ার আশঙ্কায় গর্ভপাত করাতে চেয়েছিলআমরা নিষেধ করেছিঅনেক বুঝিয়েছিসন্দেহ হওয়ায় নিয়মিত খোঁজখবরও রাখছিলামকিন্তু যা সন্দেহ ছিল, এখন দেখছি সেটিই সত্যি হল!

ওই শিশুর মৃত্যুর আগের দিনও সিন্দ্রানী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকেশিশুটি সুস্থ আছে বলে জানান চিকিৎসকরা

পুলিশ এসে মরদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই দম্পতিকেপুলিশ জানিয়েছে, আগের শিশুগুলো কীভাবে মারা গেল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রঃ একুশে টিভি


শেয়ার করুন

0 facebook: