আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চার মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নরেন্দ্রপুরের দাসপাড়া এলাকায়।
জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা অপূর্ব গায়েনের সঙ্গে বিয়ে হয় অঞ্জুর। গত অক্টোবর মাসে অন্তঃসত্ত্বা হন তিনি। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই তার উপর অত্যাচার চলতে থাকে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার ওই নারী।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সন্তান হলে সংসারে খরচ আরও বাড়বে, এই অজুহাত দেখিয়ে তাকে গর্ভপাত করিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিতে চাপে গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে বলা হয়। এসবের মধ্যেই একদিন অশান্তি হলে তার পেটে শ্বশুর অশোক গায়েন লাথি মারেন। এ সময় শাশুড়ি প্রতিমা গায়েনও মারধোর করেন বলে অভিযোগ করেন অঞ্জু।
মারধোরের পর রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে অঞ্জুর। তাকে প্রথমে স্থানীয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে ও পরে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি। কিন্তু হারিয়েছেন তার গর্ভের সন্তান। ঘটনার পর পরই নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অঞ্জু।
পরে অভিযুক্ত শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: