বুধবার বেলা ১২টার দিকে জম্মু বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে এ হামলা হয়। হামলায় আহতদের বেশির ভাগই জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গেছে। হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। এ নিয়ে এলাকাটিতে গত বছর থেকে এ পর্যন্ত তিনবার গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে।আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জিএমসি কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সানন্দ রায়না পিটিআইকে জানান, বোমার স্পিন্ডারের আঘাতে ২৮ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাসের মধ্যে কোনও আরোহী ছিল কি না, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ওই বাসস্ট্যান্ডের একটি বাসের নিচে গ্রেনেডটি রাখা হয়েছিল। এতে বিস্ফোরণ ঘটায় সেখানে থাকা বেশ কয়েকজন বাসচালক এবং পরিবহন শ্রমিক আহত হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মনিস কুমার সিনহা বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিস্ফোরণের আগে পার্ক করা একটি বাসের নিচে ওই গ্রেনেডটি রেখে দেয়া হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণে মারাত্মক শব্দে কেঁপে উঠেছিল বাসস্ট্যান্ড। প্রথমে সবাই ভেবেছিল টায়ার ফাটার শব্দ। পরে জানা গেছে বিস্ফোরণ হয়েছে। আহতদের স্থানীয় বাসিন্দারাই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন।’ পাক-ভারত চলমান উত্তেজনার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় এমন হামলার ঘটনা ঘটল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় অন্তত ৪৯ আধাসামরিক জওয়ান নিহত হন। ভারত এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল।এই হামলার জেরে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতীয় দুটি বিমান ঢুকে পড়লে পাকিস্তান তা ভূপাতিত করে ভারতীয় পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। তিন দিন আটক রাখার পর গত শুক্রবার তাকে ফেরত দেয়া হয়।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: