স্টাফ রিপোর্ট।। ভারতে ইসলাম বিদ্বেষ তুঙ্গে, যার প্রমান বার বার দিচ্ছে সেদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। যেখানে গরুর প্রস্রাব কে পবিত্র পানি মনে করে দেদারছে গেলা হচ্ছে সেখানে মুসলিম সেলসম্যনের হাতে কি এমন নাপাকি আছে তা বোধগম্য নয়। আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেরই খিদে পেলে মাথায় কাজ করে না। অনেকেই পেট খালি থাকলে এর জ্বালায় ভুলে যাই যাবতীয় বাছ-বিচার, তবে সকলের তো ওড়ে না। অনেকেরই ভুখা পেটের আগে খড়গহস্ত হয়ে দাঁড়ায় ধর্ম। যেমন, অমিত বাবু। মধ্যপ্রদেশের অমিত, ধর্মের খাতায় যার নাম হিন্দু তালিকায়। মঙ্গলবার রাতে ভারতের মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম জোমাটোতে খাবার অর্ডার করেও ভীষণই অসন্তুষ্ট তিনি। কারণ? একজন মুসলিম আসছেন তাকে খাবার পৌঁছে দিতে! এ কেমন অনাচার? মোটেও ধর্মে সইছে না।
খাবারের অর্ডার বাতিল করে দিতে চেয়ে জোমাটোর গ্রাহক পরিসেবায় মেসেজও করেন অমিত। তার দাবি, ওই মুসলিম ব্যক্তির পৌঁছে দেওয়া খাবার মুখে তুলবেন না তারা, বদলে দিতে হবে ডেলিভারি পার্সনকে। খালি পেটের উর্ধে গিয়ে এমন গোঁড়ামির মুখে যে জবাব দিয়েছে জোমাটো সেই প্রতিক্রিয়া অবশ্য মানুষের মন জিতে নিয়েছে। বাড়ির রান্না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জোমাটো জানায়, ‘কখনো কখনো বাড়ির খাবারও খাও'!
এ ঘটনা টুইটের মাধ্যমে ভারতের মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা অমিত শুক্লাও জোমাটোর গ্রাহক পরিসেবার সঙ্গে তার কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে বলেছেন, তিনি বিষয়টি তার আইনজীবীদের কাছে নিয়ে যাবেন। অমিত শুক্লা টুইট করেছেন, জোমাটোর একটি অর্ডার বাতিল করলাম। তারা আমার খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি অ-হিন্দু রাইডারকে দায়িত্ব দিয়েছিল। ওরা জানিয়েছে যে তারা চালক পরিবর্তন করতে পারবে না এবং টাকাও ফেরত দিতে পারবে না।
জোমাটোর প্রতিষ্ঠাতা দীপিন্দর গোয়েলও তার কোম্পানির বার্তা ও সিদ্ধান্ত বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দীপিন্দর গোয়েল টুইট করে জানান, ভারতের ধারণা বিষয়ে আমরা গর্বিত এবং একইভাবে আমাদের সম্মানীয় গ্রাহক ও অংশীদারদের বৈচিত্র্য নিয়েও আমরা গর্বিত। আমাদের মূল্যবোধের পথে বাধা দেয় এমন কোনও ব্যবসায় লস করলেও আমাদের দুঃখ নেই! গোঁড়ামি এবং ঘৃণার প্রতি প্রত্যাখ্যান জানাতে এমন পদক্ষেপ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় জোমাটোর ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। বাস্তবিকই, ভুখা পেটের কোনও ধর্ম কি কোনও দেশে আছে? প্রশ্ন করুন নিজেকেও। সূত্রঃ এনডিটিভি।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
ভারত
0 facebook: