আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। ভারতের আলোচিত ধর্মীয় বক্তা জাকির নায়েকের মালয়েশিয়ায় বসবাসের অনুমতি বাতিল করার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহম্মদ কে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে সেদেশের কয়েকজন মন্ত্রীদের থেকে, যাদের অনেকেই উগ্রবাদী হিন্দু ধর্মের অনুসারী। এদিকে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হলে সরকার তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন মাহাথির মুহম্মদ। খবর মালয় ডেইলির।
স্থানীয় সময় শুক্রবার মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে মালয়েশিয়ায় তার স্থায়ী বসবাসের অনুমতি বাতিল করা হবে।
খবরে বলা হয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত হিন্দু ও চিনা বুড্ডিস্টদের বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত মন্তব্য’ করেছেন জাকির নায়েক। এ ঘটনায় তদন্ত করছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। এখন এই তদন্তের ফলের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার।
এ বিষয়ে মাহাথির মুহম্মদ বলেন, জাকির নায়েকের স্থায়ী বসবাসের অনুমতি রয়েছে। তবে যদি তিনি জাতির জন্য ক্ষতিকর কিছু করে থাকেন আমরা তার এই অনুমতি বাতিল করতে পারি।
তিনি বলেন, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে এই মুহূর্তে পুলিশ তদন্ত করছে। যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার স্থায়ী আবাসিকতা বাতিল করা আমাদের জন্য জরুরি হয়ে পড়বে।
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের চেয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুরা শতগুণ বেশি অধিকার ভোগ করছে-জাকির নায়েক সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে। তবে জাকির নায়েক দাবি করেছেন, তার বক্তব্যকে সংবাদমাধ্যমে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুদের নিয়ে জাকির নায়েকের এই মন্তব্যের জেরে তাকে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে।
জাকির নায়েকের ওই বক্তব্যের জেরে ১৬-১৮ আগস্ট তাকে মালয়েশিয়ায় একটি ইসলামি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে বাধা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ভারতে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহাদি কার্যক্রম উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। দিল্লির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহম্মদ এ ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
মালয়েশিয়া
0 facebook: