আন্তর্জাতিক
ডেস্ক।। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে দেশটির সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদী বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নিরীহ মুসলমানরা। ছয় বছর ধরে অন্যায়ভাবে
মুসলমানদের ৮টি মসজিদ বন্ধ রেখেছে মিয়ানমার সরকার।
গত ১৭
সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হেলইং ইয়াঙ্গুনে একটি মসজিদ পরিদর্শন
করে। সেখানে এই অঞ্চলের স্থানীয় মুসলিমরা বন্ধ করে দেয়া ৮টি মসজিদ পুনরায় খুলে দেয়ার
আবেদন জানান।
সম্প্রতি
এই অঞ্চলের অ-বৌদ্ধ ধর্মের জনগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ শুরু করেছে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল
মিন অং হেলইং। সাক্ষাৎতের সময় মুসলিমরা মসজিদগুলো চালু করার জন্য অনুমতি চান।
এছাড়া
আঞ্চলিক মুসলিম দায়িত্বশীলরা দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অফিস, কমান্ডার-ইন-চিফ
অফিস এবং সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মেকটিলা ও ইয়ামেথিন জনপদের ৮টি মসজিদ
পুনরায় খুলে দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন।
মেকটিলা
ও ইয়ামেথিনের মুসলমানরা সেনাপ্রধানের যোগাযোগের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সেনাপ্রধানের
সাক্ষাতের উদ্দেশ্য তারা জানেন না।
আর মসজিদ
খুলে দেয়ার বিষয়ে সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউ সান উইন জানিয়েছে, তারা
এখনও এ চিঠিটি পায়নি।
তবে মিয়ানমারের
ইসলামিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ইউ মং মং জানায়, সে সেনাপ্রধানকে মসজিদগুলো খুলে দেওয়ার আহ্বান
জানিয়েছে।
২০১৪
সালে মিয়ানমারের মান্ডলে তীব্র সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মধ্যে মেকটিলা ও ইয়ামেথিন জনপদের
মসজিদগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের
রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে
আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ
নেয়নি দেশটি।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
ধর্মীয় বিদ্বেষ
মিয়ানমার
0 facebook: