![]() |
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ বিন ডাগর ও তার মন্ত্রী সভার সদস্যরা এডেনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে মুজাহিদদের চালানো একটি বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে গত কয়েকদিনের লড়াইয়ের পর ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুজাহিদরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটিসহ বন্দরনগরী এডেনের প্রায় পুরোটা দখল করে নিয়েছে।
কয়েকদিন আগে পূর্বাঞ্চলীয় খোর মাকসার জেলায় দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর তা দ্রুতই দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রেটার জেলা, প্রেসিডেন্ট প্যালেসের নিকটবর্তী এলাকায় ও সমুদ্র বন্দরের পেছেনের পাহাড়গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। মুজাহিদরা সামরিক ঘাঁটিসহ সরকারি দপ্তরগুলো দখল করে নেয়। প্রধানমন্ত্রী ডাগর এই ঘটনাকে ‘অভ্যুত্থান’ অভিহিত করে এর নিন্দা করেন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা প্রেসিডেন্ট হাদি তার অনুগত বাহিনীগুলোকে এডেন সুরক্ষিত রাখার আদেশ দেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই মুজাহিদরা দক্ষিণাঞ্চলীয় দার সাদ জেলায় প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট বাহিনীর শেষ শক্তিকেন্দ্রটি দখল করে নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্যালেসের কাছে পৌঁছে যায়।
দক্ষিণাঞ্চলভিত্তিক এই মুজাহিদদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ডাগর সরকারকে শহর থেকে নিরাপদে সরে যেতে সুযোগ দেওয়ার জন্য আলোচনা চলছে। কিন্তু সরকার পক্ষের এক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শহর ছাড়ার কোনো ইচ্ছা নেই। এর আগে সেভ দ্য চিলড্রেন ঘোষণা করেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা সব ধরনের মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এই দুইটি পক্ষ উত্তরাঞ্চলের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিত্র হয়ে লড়াই করছিল কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু করায় ইয়েমেনে নতুন একটি যুদ্ধক্ষেত্রের সৃষ্টি হল। রেডক্রস জানিয়েছে, রবিবার থেকে শুরু হওয়ার লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষকে ‘শত্রুতা পরিহার’ করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। হুতিদের বিরুদ্ধে সৌদি জোটকে সমর্থন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘এডেনের সব পক্ষকে সংলাপে বসে একটি রাজনৈতিক মিমাংসায় উপনীত হওয়ার’ পরামর্শ দিয়েছে। ২০১৫ সালে উত্তরাঞ্চলভিত্তিক হুতি বিদ্রোহীদের অভিযানে রাজধানী সানার পতন হলে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আব্দুরাব্বু মনসুর হাদি ও তার মন্ত্রী রাজধানী থেকে পালিয়ে যান। পরে বন্দর শহর এডেনকে কেন্দ্র করে সরকার পরিচালনা করতে শুরু করেন তারা।
এদিকে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বোমা হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা। ইসলামি মুজাহিদরা এ হামলার জন্য দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে। তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ শাবওয়ার রাজধানী আটাকের একটি তল্লাশি চৌকিতে এ বোমা হামলা করা হয়। চৌকিটির দায়িত্বে ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: