08 May 2018

ছাত্রলীগের সিন্ডিকেটের নেতা চূড়ান্তঃ সভাপতি প্রিন্স, সা. সম্পাদক শামিম



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ছাত্রলীগের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সিন্ডিকেটের হাতেই যাচ্ছে নেতৃত্ব। সিন্ডিকেটের মনোনীত সভাপতি পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামিমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়। সিন্ডিকেটের একজন সিনিয়র নেতার বাসায় আজ(সোমবার) রাত দশটার দিকে বিষয়টি চুড়ান্ত করা হয়।

জানা যায়, সিন্ডিকেট মনোনীত এই দুই নেতাকে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে মঙ্গলবার গণভবনে যাবেন ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। তবে বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাদের মধ্যেই বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। গণভবনের একটি বিশেষ গোষ্ঠিও তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের প্রাথমিক পর্যায়ে এই দুই জনের বিরুদ্ধেই বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে পরবর্তিতে এসব রিপোর্ট পরিবর্তন করে সিন্ডিকেটের সাপোর্টে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলো শামিম। পরে কেন্দ্রীয় নেতা হলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় রাজনীতি না করার ঘোষণা দিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। শামিমের পরিবারের একাধিক সদস্য বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা রয়েছে। শামিম ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার ও বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান সাহাগের একনিষ্ঠ অনুসারি হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে প্রিন্সের বিরুদ্ধে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রিন্স অষ্টম শ্রেণীতে থাকাবস্থায়ই শিবিরের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এছাড়া প্রিন্সের বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধেও ছাত্রদলের রাজনীতি করার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালিন তিনি জড়িয়ে পরেন বেশ কয়েকটা বিতর্কিত ঘটনায়। ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব দেওয়াকে কেন্দ্র করে আলোচিত ঘটনাটি ক্যাম্পাসের ওপেন সিক্রেট। এছাড়া তিনি ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের ছাত্র হলেও স্নাতোকত্তোর শেষ করতে পারেননি। পরে সান্ধ্যকালিন অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলেও চার বিষয়ে ফেল করেন। তার বিরুদ্ধে রোকেয়া হলের ৭ই মার্চ ভবন থেকে ৮০লাখ টাকা, তমা কনস্ট্রাকশনের দ্বারা নির্মিত শিববাড়ি মোড়ের শিক্ষক কোয়ার্টার থেকেও ৭০ লাখ টাকা চাদাঁবাজির অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, প্রিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল টেন্ডারে অবৈধ হস্তক্ষেপ করতেন। প্রতিটি কাজের ৫ভাগ টাকা নেওয়ার অভিযোগে ঠিকাদারদের কাছে তিনি মিষ্টার ফাইভ পারসেন্ট নামেও পরিচিত। এছাড়া প্রিন্সের আপন ভগ্নিপতি আব্দুল আলিম খোকন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।


শেয়ার করুন

0 facebook: