![]() |
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ মিল্লার মনোহরগঞ্জে সিমু আক্তার নামে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের হাতিমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে সাইদুল হকের ঘরের খাটের নিচ থেকে ওই শিশুর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ ও ওই শিশুর পরিবারের সদস্যরা। সিমু ওই গ্রামের কৃষক সাইদুল হকের মেয়ে। সে স্থানীয় হাতিমারা মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় উত্তর হাওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান হিরন যুগান্তরকে জানান, হাতিমারা গ্রামের পূর্ব-উত্তর পাশের ফসলের মাঠের মধ্যখানে বাড়ি নির্মাণ করে সেখানেই বসবাস করছিল কৃষক সাইদুল হক। গত এক সপ্তাহ আগে সাইদুলের স্ত্রী রাবেয়া বেগম সিলেটে বেড়াতে যায়।
সোমবার সকালে সাইদুল মাঠে কৃষিকাজ করতে ঘর থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় তিনি তার মেয়েকে বলে যান, ‘পুরো বাড়ি যেহেতু খালি তুই নানার বাড়িতে চলে যা’। সিমুর নানার বাড়ি একই গ্রামে। ওদের বাড়ির কাছাকাছি। দুপুরে মাঠের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরের খাটের নিচে সাইদুল তার মেয়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়।
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামছুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে। শিশুটিকে ধারালো কোনো ছুরি দিয়ে মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে। তার শরীরে অন্তত ৫-৬টি কোপের আঘাত রয়েছে।
তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর হয়তো শিশুটি ধর্ষককে চিনে ফেলার কারণেই তাকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
0 facebook: