19 September 2018

কথিত বাল্যবিবাহের অজুহাতে গরিবের মেয়ের বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

প্রতিকি ছবি
স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ বাড়িতে বিয়ে দিতে না পেরে বরের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে যায় তার পরিবার। উদ্দেশ্য ছিল, গভীর রাতে চুপিসারে বিয়ের কাজটি সেরে ফেলা। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। সে বিয়েও ভেঙে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘায়।

মেয়েটির নাম- মিম খাতুন (১৫)। সে বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের রহিমান পুর গ্রামের জয়নাল আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অন্যদিকে বর সোহান আলী (১৬) বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

জানা গেছে, নিজের বাড়িতে থেকে মিমকে বিয়ে দিতে পারছিল না তার পরিবার। এজন্য তারা মেয়েকে নিয়ে নজরুল ইসলামের বাড়িতেই চলে যান। সেখানেই সোহান আলীর সঙ্গে মিমের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় বিয়ের প্রস্তুতিকালে ছেলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই বিয়ে বন্ধ করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা জানান, গোপন সংবাদে পুলিশ ফোর্স সঙ্গে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পরিবারের আত্মীয়দের আটক করেন। পরে তাদের প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে পারবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।

এ ছাড়া কাজী হানিফ মোল্লার বিয়ের রেজিস্ট্রির বই জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি মাওলানা আতিকুর রহমানকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।


শেয়ার করুন

0 facebook: