গত ৩০ মার্চ শুরু হওয়া ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’-এ এখন পর্যন্ত ৪১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি।
শুক্রবারের (২৭ এপ্রিল) হামলায় গুলিবিদ্ধ দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন অন্তত ছয়শ’ লোক। আহতদের মধ্যে বেশ ক’জন সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা সীমান্তের পাঁচটি স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ও সীমান্তের ওপারে ফিলিস্তিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। পাল্টা জবাবে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ফিলিস্তিনি বাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, গাজার ১২ থেকে ১৪ হাজার বিক্ষোভকারী ইসরায়েলি সীমানা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের প্রতিরোধ করা হয়।
‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ শীর্ষক এই বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে ফিলিস্তিনিরা সীমান্তে অন্তত পাঁচটি তাঁবু গেড়েছে। বলা হচ্ছে, এই বিক্ষোভ চলবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। আন্দোলনকারীরা ইসরায়েলের দখলকৃত তাদের আবাসসহ ভূমি ফিরে পাওয়ার জোর দাবি তুলেছেন।
১৯৭৬ সাল থেকে বছরের ৩০ মার্চ ‘ভূমি দিবস’ পালন করছেন ফিলিস্তিনিরা। ওই সময় ইসরায়েলি বাহিনীর দখলদারিত্বের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় ছয় ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির সময় তাদের নেতৃত্ব ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজা ও পশ্চিম তীরে পাঠিয়ে দেয়। ইসরায়েলের নেতৃত্বের বক্তব্য, বাস্তুচ্যুত শরণার্থীরা ভবিষ্যৎ গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে বসবাস করবে। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা এই অবিচার প্রত্যাখ্যান করে তাদের নিজগৃহে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে আসছেন।
খবর বিভাগঃ
আন্তর্জাতিক
0 facebook: